সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশ (৪২) চাটখিল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৬ মে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে আমার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তার চেম্বারে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর আমার মাস্ক খুলে নাকের কাছে কিছু একটা ধরলে আমি কিছুটা অচেতন হয়ে যাই। তারপর চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বারবার ক্ষমা চেয়েও আমি রক্ষা পাইনি।

ওই তরুণী আরও বলেন, ধর্ষণ শেষে নুর হোসেন আমাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। যে কারণে প্রথম কয়েক দিন কাউকে না বললেও একদিন আমার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা চিরকুটে লিখে দিই। বাবা জীবিত না থাকায় এবং সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে এই বিষয়ে এতদিন কোথাও কোনো অভিযোগ করিনি। পরে মাসহ নিজের সর্বনাশের বিচারের দাবিতে ইউএনও স্যারের কাছে যাই।

ভুক্তভোগীর মা  বলেন, আমার মেয়ে আমাকে চিরকুট লিখে তার সর্বনাশের কথা জানিয়েছে। সে সাহস পাইনি প্রথম দিকে। তাই মেয়েকে নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে হাজির হয়। আসলে আমি ছোট একটি চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করেছে, আমি তার ফাঁসি চাই।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন  বলেন, কলেজছাত্রী ও তার মা খুব ভয় পেয়ে আমার কাছে সাহায্য চাইতে আসে। আমি ঘটনা শুনে স্তব্ধ হয়ে যাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমানের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিই। পরিবারটি অত্যন্ত নিরীহ। আশা করি তারা ন্যায়বিচার পাবে।

এ বিষয়ে চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক  বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার (৩ জুন) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।