ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য ম্যাচটি ছিল ইতিহাস গড়ার। প্রথম কোনো ফুটবলার হিসেবে তিনি ছয়টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে নেমেছিলেন। ২০০৮ সাল থেকে তার সঙ্গে যাত্রা শুরু হয়েছিল ডিফেন্ডার পেপে’র। এখন তিনি ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৪১ বছর ১১৩ দিন) ফুটবলারও। দুজনের ভিন্ন কীর্তির দিনে ইউরোতে দারুণ শুরু পেয়েছে পর্তুগাল। শেষ মুহূর্তের গোলে তারা চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে ২-১ গোলে নাটকীয় জয় পেয়েছে।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে লাইপজিগের ম্যাচটিতে চেকদের চেয়ে স্পষ্ট ফেবারিট ছিল পর্তুগালই। কেবল ম্যাচটিতেই নয়, রোনালদোরা যে টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই গেছেন জার্মানিতে। সেখানে তাদের শুরুটাও হয়েছে রোমাঞ্চকর। যদিও নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র করার পর, শেষ মুহূর্তে তারা গোল পায় চেক প্রজাতন্ত্রের ভুলে।
নিজের শেষ ইউরো খেলতে নেমে অবশ্য প্রথম ম্যাচে গোল পাননি সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাবে বেশ ফর্ম দেখানো সিআরসেভেন। তাদের আক্রমণের মুখে চেক প্রজাতন্ত্র ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই নিজেদের অর্ধে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল। তাতে তারা সফলও হয়েছে বেশ ভালোভাবে। কারণ পুরো প্রথমার্ধে পর্তুগিজদের তারা গোল বঞ্চিত করে রাখে। এরপর ডেডলক ভাঙা লিড–ও প্রথমেই নেয় চেক প্রজাতন্ত্র। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে রোনালদোদের স্তব্ধ করে দেন চেক ফুটবলার লুকাস প্রোভড। তার দারুণ এক শটে চেক প্রজাতন্ত্র ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
যদিও তাদের সেই উচ্ছ্বাস শেষ হতে বেশি সময় লাগেনি। কারণ ৬৯তম মিনিটেই ম্যাচে সমতা। তাও নিজেদের ডিফেন্ডারের অবদানে। পর্তুগালের নুনো মেন্দেসের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান চেক গোলরক্ষক জিন্দ্রিচ স্টানেক। যদিও তিনি বলটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। এতে তার সামনে থাকা চেক ডিফেন্ডার রবিন হ্রানাচের গায়ে লেগে বল ঢুকে যায় নিজেদের জালেই। ১–১ সমতা টেনে হাফ ছেড়ে বাঁচে পর্তুগাল।