নড়াইলের কালিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাসিম মোল্লা (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওয়ান শুটারগান ও গুলিসহ সিরাজ মোল্লা (৪৪) ও আজিজার (৫৫) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
নিহত হাসিম মোল্লা উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে ঠান্ডু মোল্লা ও জনি মোল্লা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে আজ শনিবার সকালে ঠান্ডু মোল্লা তার দলীয় লোকজন নিয়ে জনি মোল্লার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। এর মধ্যে জনি মোল্লা গ্রুপের জনি মোল্লাসহ হাসিম মোল্লা মারাত্মক আহত হন। সংঘর্ষের বিষয়টি জানতে পেরে কালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে প্রতিহত করার চেষ্টা করতে গেলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তারা। এতে চন্দন ও সজল নামে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হাসিম মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুনরায় হামলার প্রস্তুতি নিতে গেলে যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। এতে জনি গ্রুপের দুই জনকে একটি ওয়ানশুটার গান ও ২০ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেন। অস্ত্র ও গুলিসহ আটককৃত একই গ্রামের মৃত আহমেদ মোল্লার ছেলে সিরাজ মোল্লা ও মকবুল শেখের ছেলে আজিজার শেখ।
এ বিষয়ে কালিয়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান জানান, আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫ জন আহত হয়েছেন। যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র গুলিসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।