ভারতের কলকাতায় আইন কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের একজনের কলেজে ভর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আবারও ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
কসবার দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজের ২৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার অভিযুক্ত— মনোজিত মিশ্র (৩১), জাইব আহমেদ (১৯), প্রমিত মুখোপাধ্যায় (২০) এবং পিনাকী ব্যানার্জিকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রবেশিকা পরীক্ষায় তলানির দিকে থাকার পরও জাইব আহমেদের ওই কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।
এক্সে তিনি লিখেছেন— দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজে ধর্ষণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ভর্তির তালিকায় ২৬৩৪ নম্বরে থাকার পরও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। এদিকে, মেধাবী এবং আইন মেনে চলা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যারা তালিকার অনেক ওপরের দিকে ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় আপনাকে স্বাগতম, যেখানে আইনের শাসনকে উপহাস করা হয় এবং রাজনৈতিক সংযোগ থাকা অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়।
মালব্য আরও জানতে চান কেন জাইবকে মর্যাদাপূর্ণ আইন কলেজে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয় এবং কে তাকে মামলা থেকে রক্ষা করছে।
জাইব এবং অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং যৌন নির্যাতন এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত একাধিক ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ওই ঘটনার প্রতিবাদে যাদবপুর, রাসবিহারী এবং হারজরাসহ গতকাল বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। সন্ধ্যার মধ্যে বিক্ষোভ শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ৯ আগস্ট আর. জি. কর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের একজন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর গঠিত ‘অভয় মঞ্চ’-এর সমর্থকরাও ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।
এই ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে কলকাতা পুলিশ পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুরো অপরাধটি পূর্বপরিকল্পিত কি না তাও পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।