1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
দৃষ্টি অন্য দিকে গেলে নামাজ হবে? - NEWSTVBANGLA
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ঢাকায় রাতে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে জুলাই বিপ্লব নতুনভাবে দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস লেখা যাবে না : চসিক মেয়র ‘হঠাৎ বিকট শব্দ, দৌড়ে গিয়ে দেখি বাড়ির ভেতরে আগুন আর কান্নাকাটি’ পরিবেশ দূষণমুক্ত চাইলে দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করার আহ্বান না ফেরার দেশে নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে ৭.৫ কোটি টাকার ভুয়া গল্প, আসলেই কি ঘটেছে বেলকুচিতে রাতের মধ্যে যেসব এলাকায় ঝড় হতে পারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামায় জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ললিপপ জনি কেরানীগঞ্জে এসি বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৪ জন হাসপাতালে

দৃষ্টি অন্য দিকে গেলে নামাজ হবে?

প্রতিনিধি

নামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। নামাজের মাধ্যমে মানুষ গুনাহমুক্ত হয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুই প্রান্তভাগে এবং রজনীর প্রথমাংশে। অবশ্যই নেক আমল পাপসমূহ মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এ তাদের জন্য এক উপদেশ। (সূরা হূদ, আয়াত : ১১৪)

হজরত আবু উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সালমান ফারসী রা. এর সঙ্গে একটি গাছের নিচে ছিলাম। তিনি গাছের একটি শুকনো ডাল নিয়ে ঝাড়া দিলেন, এর কারণে গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়লো। তারপর বললেন, হে আবু উসমান! আমি কেন এমন করলাম, জানতে চাইবেন না? আমি বললাম, কেন এমন করলেন?

তিনি বললেন, আমি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে একটি গাছের নিচে ছিলাম, তখন তিনি সে গাছ থেকে একটি শুকনো ডাল নিলেন। তারপর তা ঝাড়া দিলেন, এতে পাতাগুলো পড়ে গেল। তখন বললেন, হে সালমান! কেন এমন করলাম জানতে চাইবে না? আমি বললাম, কেন এমন করলেন? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একজন মুসলমান যখন ভালোভাবে অজু করে এবং নামাজ আদায় করে তখন তার গুনাহগুলো এভাবেই ঝরে যায় যেমন এ পাতাগুলো ঝরে পড়লো। (মুসনাদে আহমাদ, নামাজ অধ্যায়, ০৯)

নামাজের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন। নামাজ আদায়ের সময় সর্বোচ্চ মনোযোগ ও একাগ্রতা বজায় রাখা জরুরি। দৃষ্টিকে এদিক-সেদিক ফিরিয়ে দিলে নামাজের খুশু (বিনয়) ও খুজু (একাগ্রতা) ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা ইবাদতের গভীরতা ও অন্তর্নিহিত সৌন্দর্যকে হ্রাস করে।

নামাজে দৃষ্টির সঠিক অবস্থান

পুরুষ হোক বা নারী, নামাজে দৃষ্টিসংক্রান্ত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পালন করা মুস্তাহাব :

কিয়ামে (দাঁড়ানো অবস্থায়): সিজদার স্থানের দিকে দৃষ্টি রাখা।

রুকুতে পায়ের পাতা বা পায়ের অগ্রভাগের দিকে দৃষ্টি রাখা।

সিজদায় নাকের ডগার দিকে তাকানো।

তাশাহহুদে (বসার সময়) নিজের কোলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা।

সালামের সময় ডান ও বাম কাঁধের দিকে তাকানো।

এইভাবে দৃষ্টি রাখলে নামাজে একাগ্রতা বজায় থাকে, মন ও হৃদয় আরও গভীরভাবে ইবাদতের সঙ্গে যুক্ত হয়।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে সালাতের মধ্যে এদিক-সেদিক তাকানো সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটি শয়তানের একটি ছোঁ মেরে নিয়ে যাওয়া। শয়তান বান্দার নামাজ থেকে (মনোযোগ) ছিনিয়ে নেয়। (আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব, হাদিস : ৭৯০)

ইমাম কাসানী হানাফী (রহ.) বলেন, নামাজে ডানে বা বামে মুখ ফেরানো উচিত নয়।

আর নামাজের আদব হলো, দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায় দৃষ্টি রাখা, যাতে পূর্ণ একাগ্রতা সৃষ্টি হয়, ডানে-বাঁয়ে দৃষ্টি না যায়। এটি সুন্নত। তবে কোনোভাবে দৃষ্টি চলে গেলে নামাজ ভঙ্গ হবে না। নামাজরত মুক্তাদির জন্য ইমাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে থাকা সুন্নতবহির্ভূত কাজ।

(আদদুররুল মুখতার : ১/৪৪৭)

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট