সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

দাউদ (আ.) যেভাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

হজরত দাউদ আ. বনী ইসরাঈলের নবী ছিলেন। তিনি অন্যান্য নবীদের মতো চল্লিশ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন। তিনি শতায়ু পেয়েছিলেন। তাঁর পুত্র সন্তানের সংখ্যা ছিল ১৯ জন। সন্তানদের মধ্যে সুলায়মান নবুয়ত ও শাসন ক্ষমতা উভয় দিক দিয়ে পিতার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। আল্লাহ পিতা ও পুত্রকে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে সৃষ্টি করেছিলেন।

দাউদ আ. অত্যন্ত মধুর কণ্ঠে জাবুর পাঠ করতেন। যাতে পশু, পাখি, এমনকি মাছ পর্যন্ত বিমোহিত হতো। ফলে ‘দাউদি কণ্ঠস্বর’ প্রবাদের মর্যাদা লাভ করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর তিলাওয়াত পছন্দ করতেন এবং তিনি আবু মুসা আশআরি (রা.)-এর প্রশংসা করে বলতেন, আল্লাহ তাঁকে দাউদি কণ্ঠ দান করেছেন। (সুনানে তিরমিজি)

দাউদ (আ.) বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী ছিলেন। কিন্তু তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কোনো ভাতা গ্রহণ করতেন না। নিজ হাতে জীবিকা উপার্জন করতেন। তিনি একজন দক্ষ কর্মকার ছিলেন। বিশেষ করে শত্রুর মোকাবিলার জন্য উন্নত মানের বর্ম নির্মাণে তিনি ছিলেন একজন কুশলী কারিগর। যা বিক্রি করে তিনি সংসার যাত্রা নির্বাহ করতেন।

দাউদ (আ.)-এর হাতে আল্লাহ লৌহশিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন। তাঁর আগেও লোহার ব্যবহার ছিল। তবে তা নিখুঁত ও শৈল্পিক ছিল না।

আল্লাহ বলেন, ‘আমি তাঁর জন্য লোহাকে নরম করেছিলাম এবং তাঁকে বলেছিলাম, প্রশস্ত বর্ম নির্মাণ কোরো, কড়াসমূহ যথাযথভাবে সংযুক্ত কোরো এবং ভালো কাজ কোরো।’ (সূরা সাবা, আয়াত : ১০)