রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

প্রকাশিত হয়েছে- মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩

গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল অর্থাৎ তালের শাঁস। এশিয়ার দেশেগুলোতে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-

তালের শাঁসের পুষ্টিগুণ

মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, ফ্যাট .১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

তালের শাঁসের স্বাস্থ্য উপকারিতা

 তালের শাঁস প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন।

গরমের তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে।খাবারে রুচি বাড়িয়ে দিতেও সহায়ক।

তালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।

তালে থাকা উপকারী উপদান আপনার ত্বকের যত্ন নিতে সক্ষম।

 কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

 কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূরীকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে।

 তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে।

 তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

তালে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স আপনার পানি পানের তৃপ্তি বাড়িয়ে দেয়।

 তাল বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তথ্য সূত্র: অনলাইন ডেক্স।