শুক্রবার , ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

তরুণ প্রজন্মের বিকাশে সহায়তা করবে সাংস্কৃতিককর্মকাণ্ড

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

০২ জুন ২০১৮ইং

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও জাতীয়তার চেতনা বিকাশে সহায়তা করবে। এছাড়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আগামী প্রজন্মকে আধুনিক, সংস্কৃতিমনা ও সৃষ্টিশীল হিসেবে গড়ে তুলতে খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

আবদুল হামিদ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। নতুন প্রজন্মকে এ কথা জানাতে হবে যে, আমাদের জন্মভূমিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আমাদের ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পী সমাজের অবদান অনস্বীকার্য। জাতির প্রয়োজন ও সংকটের সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সাহসী ভূমিকা পালন করে আসছে সর্বদা।রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ শিল্পকলা পদকে ভূষিত হলেন।
আমি আশা করি, এ পুরস্কার আপনাদের নিজ অঙ্গনে আরও অবদান রাখতে উৎসাহিত করবে।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি শিশু, কিশোর ও যুবকদের কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশ ও  বিশ্ব অঙ্গনে নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সাত বিশিষ্ট শিল্পীর হাতে শিল্পকলা পদক তুলে দেন। এ বছর পদক প্রাপ্তরা হলেন- যন্ত্র সঙ্গীতে আলাউদ্দিন মিয়া, নৃত্যে শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, ফটোগ্রাফিতে নাসির আলী মামুন, চারুকলায় চন্দ্র শেখর দে, লোকসঙ্গীতে কাঙ্গালিনী সুফিয়া বেগম, নাট্যকলায় এস এম মহসিন ও সঙ্গীতে মিহির লালা। সম্মাননা প্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকা ও সনদ দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন