ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই যানজট।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে এই মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। তবে চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক গতিতে চলছে যানবাহন। মহাসড়কের নগরজলফৈ, রাবনা ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও পিকআপে করে মানুষ বাড়ি ফিরছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কে সার্বিক নিরাপত্তায় ও ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে জেলা পুলিশের প্রায় ৬ শতাধিক সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রয়েছে সড়কে। সকালে জেলা প্রশাসক শরীফা হক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য ৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর ওপর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে যানজট নেই। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।