শনিবার , ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে রাতভর যানজটের পর সকাল থেকে ধীরগতি

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর আগের দিন থেকেই ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এতে মহাসড়কে চাপ বেড়েছে যানবাহনের। গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতভর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক যানজট দেখা গেছে। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও হালকা যানজট আবার কোথাও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।

বুধবার সকালে চট্টগ্রামগামী লেনে মুন্সিগঞ্জের ভবেরচর অংশে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। তা ছড়িয়ে পড়ে কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। পরে পুলিশের তৎপরতায় যানজট স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বুধবার ভোর ৪টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সকাল ৮টায় এই যানজট কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটারে পৌঁছায়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে যানজট কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার যানজট ছিল।

অপরদিকে, বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে সড়ক ভিজে যাওয়ায় কম গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে চালকদের। মহাসড়কে গাড়ির চাপ বৃদ্ধির ফলে এবং বৃষ্টির কারণে ধীরগতিতে চলছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) মহাসড়কের কোথাও যানজট নেই।

কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় রাজেশ বড়ুয়া নামের এক যাত্রী বলেন, ভোর ৫টায় ঢাকা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিই। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ মেঘনা সেতু এলাকায় পৌঁছার পর থেকেই যানজটে আটকা পড়ি। এতে এক ঘণ্টার পথ চার ঘণ্টায় অতিক্রম করতে হয়েছে। দাউদকান্দির পরে আর কোথাও যানজট পাইনি। তবে অনেক ধীরে চলেছে গাড়ি।

অপরদিকে গাড়ির চাপ বৃদ্ধির প্রভাব গিয়ে পড়ছে টোলপ্লাজাগুলোতে। টোলপ্লাজা এলাকায় কিছুটা যানজট লক্ষ্য করা গেছে।

দুলাল মাহমুদ নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ভোর ৫টায় সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাসে উঠি। মেঘনা সেতু এলাকায় পৌঁছার পর যানজটে আটকা পড়েছি। সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় অতিরিক্ত নষ্ট হয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ যানজটমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি, থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে কোনো যানজট নেই।