টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মেরুং ইউনিয়নের স্টিল ব্রিজ এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা।
এছাড়া চিটাগং পাড়া এলাকায় অন্তত ৩৫টি পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন মেরুং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। এসব পরিবারের মধ্যে শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের জন্য খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে রাত থেকে বৃষ্টি কমে আসায় খাগড়াছড়ির প্রধান তিন নদী-ফেনী, চেঙ্গি ও মাইনীর পানি কমতে শুরু করেছে। যদিও কিছু এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে। নতুন করে কোথাও পাহাড়ধসের খবর না মিললেও বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন, কারণ পাহাড়ি এলাকার মাটি এখনো স্যাঁতসেঁতে।
সকালে খাগড়াছড়িতে আকাশ মেঘলা ছিল এবং থেমে থেমে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
মেরুং বাজারের ব্যবসায়ী মো. আকরাম হোসেন জানান, চিটাগং পাড়া এলাকা এখনো পানির নিচে। তবে মাইনী নদীর পানি কিছুটা কমেছে, যা স্বস্তিদায়ক।
সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সক্রিয় রয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে হেল্পলাইন খোলা রয়েছে।
রোববার রাতে শালবাগান এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে।