বৃহস্পতিবার , ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২৮শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৩ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

জুলাই আন্দোলনে নজরদারি, শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত সাইবার সিকিউরিটি কমিটির সদস্য শিক্ষক মো. সোবহানকে আটকের পর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে তাকে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সোবহানকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা। সোবহান লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে (অস্থায়ী) কর্মরত। তিনি আওয়ামী পন্থী হিসেবে পরিচিত।

জানা গেছে, জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এর নাম দেওয়া হয় সাইবার সিকিউরিটি কমিটি। এতে মো. সোবহান সদস্য ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যায়। হঠাৎ করে তাকে লক্ষ্মীপুরে দেখা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

আটকের পর শিক্ষক মো. সোবহান দাবি করেছেন, তিনি কখনো ছাত্রদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরোধিতা করেননি। কাউকে কখনো হয়রানি করা হয়নি। তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করেন না।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, সোবহান প্রকল্পের শিক্ষক ছিলেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সোবহান নামে একজন শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে ৪ আগস্ট যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত আফনান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়েব সাইট, ফেসবুক পেজ ও শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ নজরদারী করা এবং উস্কানিমূলক পোস্ট প্রদান করা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাইবার সিকিউরিটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সোবহান ছাড়া অন্যরা হলেন, আহ্বায়ক চিফ ইন্সট্রাক্টর (নন টেক) আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব ইন্সট্রাক্টর (টেক/কম্পিউটার) খালেদ হোসেন, সদস্য ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/কম্পিউটার) মারুফ হোসেন, ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/ইলেক্ট্রিকাল) রিয়াজ হায়দার পাবেল, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক-ইলেক্ট্রনিক্স) কাকন চন্দ্র দাস ও জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মোশাররফ হোসেন।