সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদ-ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক নিজ খরচে তৈরির অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

সিনিয়র এডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনি ভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই। আপিল শুনানির জন্য আদালত আমাদের নিজ খরচে পেপারবুক প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছেন।

২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদ- দেয়া হয়। একইসঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদ- প্রদান করেন বিচারিক আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

এ মামলায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় জামিন চেয়ে ন্যায়বিচার পাননি তিনি। এক পর্যায়ে সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়া।

গত ৬ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ওইদিন বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, তিনি কোনরূপ অনুকম্পা নয় আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে মামলা মোকাবেলা ও নিষ্পত্তি করতে চান।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।