মঙ্গলবার , ১লা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ৩রা শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

জাকাতের জন্য রাখা টাকা নিজ প্রয়োজনে খরচ করা যাবে?

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর প্রতি বছর জাকাত আদায় করা ফরজ। কারো ওপর জাকাত ওয়াজিব হবার একটি মৌলিক শর্ত হল বছর অতিক্রান্ত হওয়া। জাকাতের নেসাবের মালিক হবার পর এক বছর অতিক্রান্ত হলে বছরের মাথায় ব্যক্তির হাতে জাকাতযোগ্য যে সম্পদ থাকে তার চল্লিশ ভাগের এক ভাগ জাকাত হিসেবে প্রদান করতে হয়।

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানটি আদায় না করলে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘এবং যারা সোনা ও রুপা জমা করে রাখে, আর তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, আপনি তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দিন, যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা গরম করা হবে, অতঃপর তা দিয়ে তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে ও পিঠে সেঁক দেওয়া হবে। (আর বলা হবে) এটা তা-ই, যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা করে রেখেছিলে। সুতরাং তোমরা যা জমা করেছিলে তার স্বাদ উপভোগ করো।’ (সূরা তাওবা, আয়াত : ৩৪-৩৫)

জাকাতযোগ্য সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ কেউ যদি জাকাতের জন্য আলাদা করে রেখে দেয় কিন্তু পরবর্তীতে খরচ করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তার করণীয় কী? এই টাকা খরচ করতে পারবেন? নাকি জাকাতের জন্য আলাদা করে রাখার কারণে তা জাকাতের কাজেই ব্যয় করতে হবে, ব্যক্তিগত কাজে আর খরচ করা যাবে না?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন—

শুধুমাত্র জাকাতের নিয়তে টাকা আলাদা করার দ্বারাই জাকাত আদায় হয়ে যায় না। সেই টাকা নিজের মালিকানা থেকে বেরিয়েও যায় না। সেই টাকার মালিকানা ব্যক্তিরই থাকে। সুতরাং তা প্রয়োজনে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবে এবং পরে অন্য টাকা দিয়ে জাকাত আদায় করার সুযোগ রয়েছে। (রদ্দুল মুহতার, ৩/ ১৮৯)