সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

জয়রামপুর রেলস্টেশনে ট্রেন থামিয়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসুচী

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫

সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের আপ-ডাউন স্টপেজের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর রেল স্টেশনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।

আজ শনিবার ০২ ( আগস্ট) সাগরদাঁড়ি ও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে
বিকেল চারটায় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে শত শত মানুষ প্লেকার্ড হাতে অবস্থান নেয় স্টেশনে।

এলাকাবাসীর দাবি, ১৮৬২ সালে দর্শনা হতে জগতী পযর্ন্ত রেলপথ চালুর পর থেকেই জয়রামপুর ছিল গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। অথচ এখন সেটির কার্যক্রম বন্ধ ।

এ সময় বক্তারা বলেন, এই স্টেশন হতে রাজশাহী মেডিকেলসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াতের সুবিধার্থে এই স্টেশনে ট্রেন দুটি থামানো অতীব জরুরি । এরপর তারা চার দফা দাবি তোলেন- যে এখানে গেটম্যান নিয়োগ, স্টেশন মাস্টার পদে জনবল প্রদান, স্টেশন সংস্কার এবং আপ-ডাউন ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা।

জয়রামপুর ট্রেন সুবিধা সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক সেনা সদস্য লাজিব আক্তার সিদ্দিকী বলেন, ‘স্টেশন মাস্টার, গেটম্যানসহ এখানে আগে ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ছিলেন। আজ কিছুই নেই । আমরা এই ঐতিহ্য ফিরে পেতে চাই ।

জয়রামপুর মানবকল্যাণ যুব সংগঠনের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘গেটম্যান না থাকায় প্রাণ গেছে বেশ কয়েকজনের। স্টেশনটি সংস্কার ও স্টপেজ নিশ্চিত না হলে আরও দুর্ঘটনা ঘটবে।’

এক পর্যায়ে বিকাল সাড়ে ০৫ টার দিকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস জয়রামপুর স্টেশনে প্রবেশ করলে বিক্ষোভকারীরা লাল কাপড়ের ব্যানার রেললাইনে রেখে ট্রেন থামাতে বাধ্য করেন ।

প্রায় ৩০ মিনিট স্টেশন চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে । পরে ট্রেনের গার্ড জানান, ‘চার দফা দাবির মধ্যে কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে ।’ মানববন্ধনে পিয়ার মাহমুদ, লাজিব সিদ্দিকী, আবু হানিফ, হুমায়ুন কবির ডাবলু, মাদরাসা শিক্ষক নাফিস আখতার সিদ্দিকীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।