ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের জম্মু সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৭ জনকে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বৃহস্পতিবার জম্মুর সাম্বা এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা।
এক বিবৃতিতে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সাম্বার সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে গুলি ছোড়া শুরু করে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা। পাল্টায় বিএসএফের সদস্যরাও গুলি ছুড়তে থাকেন। এই গুলি বিনিময়ের ফাঁকেই সীমান্ত দিয়ে বেশ কয়েক জন পাকিস্তানি নাগরিককে জম্মুতে ঢোকানোর চেষ্টা করে রেঞ্জার্স।
বিষয়টি টের পেয়ে অনুপ্রবেশকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া শুরু বিএসএফ জওয়ানরা। বেশিরভাগ অনুপ্রবেশকারী পালাতে সক্ষম হলেও ৭ জন নিহত হন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে জম্মুসহ ভারত পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্ম ও কাশ্মিরের জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুর, রাজস্থান, গুজরাট ও পাঞ্জাবে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই সেগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।
গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামের বৈসরন উপত্যকায় হামলা চালিয়ে ২৬ জন পর্যটককে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। নিহত এই পর্যটকদের সবাই পুরুষ এবং অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
এ ঘটনায় সিন্ধু নদের পানি বণ্টনচুক্তি ও পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ, ভিসা বাতিলসহ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তানও।
দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন এলাকায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক সংক্ষিপ্ত সেনা অভিযান পরিচালনা করে ভারত। নয়াদিল্লির তথ্য অনুযায়ী, এ অভিযানে ৭০ জন নিহত হয়েছে তবে পাকিস্তানের দাবি, নিহত হয়েছে ৩১ জন এবং আহত হয়েছে ৫৭ জন।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর জবাব দিতে গতকাল ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড