চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই ঠেকাতে মধ্যরাতে নোয়াখালীর বিভিন্নস্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ। এ সময় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি চালানো হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাত ১টায় জেলার চৌমুহনী চৌরাস্তায় পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করতে দেখা যায়। একযোগে প্রতিটি থানায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানান নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
জানা যায়, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি ঠেকাতে পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে। এসময় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি চালান। কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সড়কে চলাচল করা ব্যক্তিদের গন্তব্য ও বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধে আমরা বিভিন্ন উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। ইতোমধ্যে কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অপরাধ দমনে টহল ও চেকপোস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এ সময় জনগণকে যেকোন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশকে জানানোর অনুরোধও করছি। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার এবং জনসাধারণের চলাচলকে নির্বিঘ্ন করতে রাতভর পুলিশ সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করেন। পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশি করলেও কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে না যাত্রীরা। তল্লাশি শেষে দ্রুত প্রস্থানের ব্যবস্থা করছে পুলিশ। আমি নিজেই সরেজমিনে মনিটরিং করছি। কোনো অপরাধী ছাড় পাবে না।