কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার সঙ্গে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দুই দিনে ৫০টি পরিবার বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে সরকারি স্থাপনাসহ আবাদি-জমিসহ বসতবাড়ি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
বুধবার (৪ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত দুই দিনে শাখাহাতি এলাকার ৫০ পরিবারের ঘর বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে রয়েছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, শাখাহাতী কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি স্থাপনা।
চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৫৬), জাবের হোসেন (৬০), ছয়নুদ্দীন (৬৫), রান্জু মিয়া (৫০), নূর আলমসহ অনেকেই বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে। হমকির মুখে রয়েছে শত শত বাড়িঘরসহ মসজিদ, মাদরাসা কবরস্থান, ব্র্যাক অফিস।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ৩৫ বছর থেকে আমরা এই চরে বসবাস করে আসছি। নদী ভাঙনের কারণে মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে। আমি কয়েকজনকে বসবাসের জন্য জমি দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। কোথায় ঠাঁই নেবেন এটাই তাদের চিন্তা
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, গত দুই দিনের ভাঙনে ৫০টি বাড়িঘর বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলেও কোনো লাভ হয়নি। আমার ইউনিয়নে গত বছরে নদী ভাঙনে প্রায় তিন শত বাড়িঘর ভেঙেছে। প্রশাসনকে বলেও কোনো লাভ হয়নি। এখন ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে চিলমারী ইউনিয়নটি ভেঙে যাবে।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক জানান, এ বিষয়ে মিটিং করা হয়েছে। আর ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকানোর জন্য যা করণীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ঈদের পর কাজ শুরু করা হবে।