বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, চাঁদাবাজ ও দখলদাররা বিএনপির কেউ নয়। যারা দেশের ক্ষতি করে, তারা বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। এদের আইনের হাতে তুলে দেওয়াই দলের নীতি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার পাশের মাঠে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, কথায় কথায় ওই মহিলা (শেখ হাসিনা) বলতেন এতিমের টাকা খাওয়ার কথা। কিন্তু সেই শেখ হাসিনা ব্যাংকের টাকা কোথায় পাচার করেছেন, বারবার বলতেন মুজিবকন্যা পালায় না, মুজিবের কন্যা বাংলাদেশকে অপমানিত করেছেন। এখন তিনি ভারতে গিয়ে বসে আছেন। যারা আমাদের বর্ডার বন্ধ করেছেন, ভিসা বন্ধ করেছেন, যারা আমাদের মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত গুলি করে মানুষ মারছে, আপনি সেই দেশে গেছেন, আপনি জীবন বাঁচানোর জন্য নাকি পালিয়েছেন।
তিনি বলেন, কথা খুব পরিষ্কার, যে দিন বেগম জিয়ার সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেদিন আমরা ঘরে ফিরতে পারবো। আজ থেকে শুরু হলো চুয়াডাঙ্গায় ধানের শীষের মাঠ তৈরি। কিছু কিছু মানুষ আছে, তাদের দুষ্টু কাজের জন্য আমাদের দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির লোকজন জোর করে এমপি হয় না। তারেক রহমান ১৬ বছর লড়াই করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। অথচ শেখ হাসিনা বারবার বলতেন ‘মুজিব কন্যা পালাই না’, কিন্তু এখন সীমান্তে যারা আমাদের মানুষ হত্যা করছে সেই দেশের আশ্রয়ে ভারতে পালিয়ে আছেন। শহীদ জিয়া আমাদেরকে শিখিয়েছেন ভালোবাসার রাজনীতি, মানুষকে রক্ষার রাজনীতি, দেশকে রক্ষার রাজনীতি, স্বাধীনতাকে রক্ষার রাজনীতি।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে দুদু বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষ ছাড়া আর কিছু পাত্তা পাবে না। এবার সরকার হবে ধানের শীষের সরকার। চুয়াডাঙ্গায় ধানের শীষের জন্য আমাদের মাঠ তৈরি করতে হবে। আজ থেকে তা শুরু হলো।
আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শামীম রেজা ডালিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি বোরহান উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করীম, জেলা বিএনপি নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদী, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক সদস্য আবু জাফর, অ্যাড. মইনুল, অ্যাড. বদিউজ্জামান, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহসভাপতি মাগরিবুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মখলেচুজ্জামান মখলেচ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন প্রমুখ।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী।