শুক্রবার , ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : যশোরে লিচুর খুচরা বাজারে ‘আগুন’

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের পর যশোরের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে মৌসুমি ফল লিচুর। ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রতি ১০০ পিস লিচু বিক্রি হচ্ছে পূর্বের দামের থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে। ফলে মৌসুমি এ সুস্বাদু ফলের স্বাদ নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

যশোরের বাজারে যেসকল লিচু পাওয়া যায় তার একটি বড় অংশ আসে বাঘারপাড়া উপজেলার লিচু বাগান থেকে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা থেকেও লিচু আসে। এসব লিচু শহরের মনিহার ফলপট্টি থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন পাইকার ও ব্যাপারীরা।

মেসার্স নূর আলম ফল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী নূর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা লিচু সাধারণত নিলামে বিক্রি করি। সর্বোচ্চ দরদাতা লিচু নিয়ে যান। রেমাল ঝড়ের পর লিচুর দাম পাইকারি পর্যায়ে হাজারে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা লিচু কিনে প্রতি হাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন।

আর এন রোডের খুচরা ফল বিক্রেতা মনি আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা লিচু নিলামে কিনে থাকি। রেমালের আঘাতের পর লিচুর দাম প্রতি হাজারে দুই থেকে তিনশ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা একটু বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদেরও তো পেট চালাতে হবে।

দড়াটানা মোড়ে লিচু কিনছিলেন ইউসুফ আলী নামের এক ক্রেতা। কথা প্রসঙ্গে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, হাসপাতালে রোগী দেখতে আসছিলাম। তার জন্য লিচু কেনার চেষ্টা করছি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে ১০০ টাকার জায়গায় ৫০শ টাকার লিচু কিনতে হচ্ছে।

কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, কয়দিন আগে লিচু কিনেছি প্রতি শ ২০০ টাকা। সেই লিচু আজ কিনলাম ৩৫০ টাকা করে। কেনার সময় দাম বাড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বিক্রেতারা বলছেন ঝড়ের কারণে লিচুর বাগান নষ্ট হয়েছে, এজন্য দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

খরকি এলাকার বাসিন্দা বুলবুল খান বলেন, ঝড় হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে। এ অঞ্চলের লিচুর দাম বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক তবে উত্তরাঞ্চলের লিচুরও দাম বৃদ্ধি পাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদেরও কারসাজি আছে।