সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাটরা গ্রামে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা খাতুন। সে কলারোয়ার কুশোডাঙা গ্রামের বাসিন্দা তৌহিদুজ্জামান ও আসমা খাতুন দম্পতির মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত মা আসমা খাতুন (২৪) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগে ভুগছিলেন। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার আসমার মা আলেয়া খাতুন চিকিৎসার জন্য তাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি নিয়ে আসেন। শুক্রবার দুপুরে আসমা তার শিশু কন্যা খাদিজাকে বারান্দায় ঘুম পাড়িয়ে রাখেন। পরে রান্নাঘর থেকে ধারালো বঁটি নিয়ে এসে ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটির গলায় আঘাত করে হত্যা করেন।
ঘটনার সময় আসমার মা আলেয়া চিকিৎসার জন্য ভ্যান আনতে বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। মুহূর্তেই এলাকাবাসী ছুটে এসে আসমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাব্বর হোসেন বলেন, ঘটনার পর আসমা নির্বিকারভাবে বসে ছিল। সে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে আমরা আগেও জেনেছি।
কলারোয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে আটক করা হয়েছে। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।