বৃহস্পতিবার , ৩রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ২০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গণমাধ্যমে সব জেন্ডারের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

গণমাধ্যমের সব পর্যায়ে সব ধরনের জেন্ডারের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। একইসঙ্গে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ, পদায়ন ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান জেন্ডার বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন মিশন প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।

গণমাধ্যমে জেন্ডার ও সমতা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে সুপারিশমালায় বলা হয়েছে, সমাজে একটি জেন্ডার-সাম্যমূলক পরিবেশ তৈরির অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে জেন্ডার-সাম্যের বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলোয় মনোযোগ দেওয়া যেতে পারে-

ক. গণমাধ্যমের সব পর্যায়ে সব জেন্ডারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ, পদায়ন ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য দূর করা।

খ. প্রতিটি গণমাধ্যমে জেন্ডার সংবেদনশীল আচরণবিধি প্রস্তুত করতে হবে এবং আচরণবিধি কার্যকরভাবে পালনের জন্য তথ্যদান, আলোচনা, প্রশিক্ষণ ও মনিটরিং-এর ব্যবস্থা রাখা; সব জেন্ডারের সাবলীল অংশগ্রহণের জন্য অবকাঠামো (যেমন: ভিন্ন টয়লেট, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র) নিশ্চিত করতে হবে।

গ. নারীর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে জেন্ডার নির্বিশেষে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতার ব্যবস্থা; নিরাপদে যাতায়াতের জন্য পরিবহনব্যবস্থা রাখা।

ঘ. হাইকোর্ট প্রণীত যৌন নিপীড়ন রোধ নির্দেশ (২০০৯) অনুযায়ী প্রতিটি গণমাধ্যম কার্যালয়ে একটি অভিযোগ প্রতিকার সেল তৈরি করা।

ঙ. সাংবাদিকতায় নানা ধরনের চাপ মোকাবিলায় মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া।

চ. নারী যেন যথাযথভাবে মাতৃত্বকালীন ছুটি পায় এবং ছুটি শেষে কাজে ফিরে কোনও বৈষম্যের মুখোমুখি না হয়, তা নিশ্চিত করা।

ছ. নারীকে কীভাবে উপস্থাপনা করা হবে, তার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং নিয়মাবলি রচনা করা; নারীর প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ বা বিরূপ মনোভাব তৈরি করে, কিংবা সব ক্ষেত্রে তার সাবলীল পদচারণায় বাধা সৃষ্টি করে-এমন গৎবাঁধা ধারণা প্রকাশ ও প্রচার না করার বিষয়ে নীতিমালা প্রস্তুত করা।

জ. সমাজে নারীর বহুমুখী ভূমিকা ও অংশগ্রহণ তুলে ধরা; কোনো একটি সংবাদ/ফিচারের ক্ষেত্রে নারীর কণ্ঠস্বর ও দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে উঠেছে কি না, তা খেয়াল রাখা।

ঝ. ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রস্তুত করা, যাতে শব্দ বা বর্ণনার মাধ্যমে নারীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবমাননা না হয়।