পবিত্র ঈদুল ফিতর সোমবার নাকি মঙ্গলবার উদযাপিত হবে তা জানা যাবে আজ রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায়। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে সন্ধ্যায় সভায় বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এদিন বাংলাদেশের কোথাও চাঁদ দেখা না গেলে সোমবার রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ উদযাপিত হবে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল)। তবে সোমবার ঈদ ধরেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)।
খুলনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজ ময়দানে। ইতোমধ্যে মাঠের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে খুলনা টাউন জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে রোববার খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদ জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার।
এ ছাড়া এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামাতটি খুলনার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা-সংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল ৯টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া নগরীর দৌলতপুর এলাকার সরকারি বি.এল কলেজ মাঠে সকাল ৮টায়, মুজগুন্নি আবাসিকের বায়তুন নাজাত জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মহেশ্বরপাশা সাড়াডাঙ্গা মাঠে ৮টায়, পাবলা সবুজ সংঘ ঈদগাহে সকাল৮ টায়, দৌলতপুর আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায়, দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউটে সকাল ৭টায়, দৌলতপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স চত্বরে সকাল সাড়ে ৭টায়, দেয়ানা উত্তরপাড়া ঈদগাহ্ সকাল ৮টায়, দেয়ানা দক্ষিনপাড়া ঈদগাহ্ সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, খুলনা মহানগরীর ৬৮০টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ ফোর্স এবং নৌবাহনী ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাতগুলো শেষ হবে।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেন, নগরবাসী যাতে সুষ্ঠুভাবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য সার্কিট হাউজ মাঠ প্রস্তুতের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নগরবাসী স্বচ্ছন্দে ও নিরাপত্তার সঙ্গে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ এবং পবিত্র ঈদুউল ফিতর উদযাপন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। সে লক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও কেএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে কেসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদ জামাতের আয়োজন করা হচ্ছে।
পরে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়াবালী নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন ও ফিন্যান্স) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ।
পরিদর্শনকালে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, সিনিয়র সাংবাদিক শেখ দিদারুল আলম, জেলা প্রশাসন, কেএমপি, কেসিসি’র কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।