সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ক্ষমা চেয়ে মিতুল মারমার আবেগঘন বার্তা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের শেষদিকে সফরকারীরা ম্যাচে প্রথম লিড নেয়। ওই সময় নিজের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেননি বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশ আরেকটি গোল হজমের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের জালে একবার বল পৌঁছায়। ম্যাচ হারের পর ক্ষমা চেয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন মিতুল।

৪৩ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে লম্বা থ্রো ইন করে সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশের গোলরক্ষক পোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে বলের নাগাল পেলেও পুরোপুরি গ্রিপ করতে পারেননি। জর্ডান এমবইয়ের হেডে বল পান হারিস স্টুয়ার্ট। তার বাড়ানো বল বাংলাদেশের জালে ঠেলে দেন সং উই ইয়ান। সিঙ্গাপুরের দুই ফুটবলারের পা ঘুরলেও মিতুল আর গোলপোস্টে ফিরতে পারেননি। হামজা চৌধুরি গোললাইন ক্লিয়ারের চেষ্টা করেছিলেন। গোললাইন ক্রস করার পর তার পায়ে লেগেই বল আরও ভেতরে প্রবেশ করে।

ম্যাচে নিজের কাজটা ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারায় নিজের ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন হওয়ার কথা তুলে ধরেছেন মিতুল মারমা। বাংলাদেশের এই গোলরক্ষক আজ (বুধবার) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্ত আমার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। আমাকে এমন কিছু বিষয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কিছুদিন আগে আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে প্রথমবার আমি এমন কষ্ট পেয়েছি।’

এরপরই ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন মিতুল, ‘ভাইকে হারানোর এই শোকের মাঝেও আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য মনোযোগ ধরে রেখেছি। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এজন্য আমি সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার জন্য সত্যিই এটি কঠিন সময় ছিল।’ একইসঙ্গে শক্তিশালী হয়ে ফেরার প্রত্যাশা বাংলাদেশি গোলরক্ষকের, ‘আবারও বলছি, ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

প্রসঙ্গত, ২০২৭ এএফসি বাছাইপর্বের ম্যাচে এই মুহূর্তে সব দলেরই বাকি আছে ৪টি করে ম্যাচ। গ্রুপের শীর্ষে থাকা দলই এখান থেকে এএফসি কাপে যাবে। আপাতত সেই অবস্থান দখলে রেখেছে সিঙ্গাপুর। পূর্ব এশিয়ার দেশটি যদি বাকি সব ম্যাচেই জিতে, তবে তাদের পয়েন্ট হবে ১৬। হংকংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। অন্যদিকে, তিনে থাকা বাংলাদেশ এই পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ অর্জন করতে পারবে ১৩ পয়েন্ট। ভারতেরও সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ১৩।