আমাদের মাঝে কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, আমরা যদি ইফতারের একটি টেবিলে একসঙ্গে এনজয় করতে পারি। তাহলে একসঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিতে সমস্যা কি? হিংসা নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়া যায় না। তাই আমরা আগামী নির্বাচন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগের একটি হোটেলে গণঅধিকার পরিষদের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
ইফতার মাহফিলে এর আগে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন, ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের অনেক অবদান ছিল। নুরুল হক নুরের অবদান ছিল অনেক।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, জনকল্যাণমুখী সংস্কারের সাথে আমরাও একমত। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা খুব শিগগিরই জনগণের চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ প্রদান করবেন।
বিএনপি জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, দেশের সব মানুষ সমর্থন দিয়ে আন্দোলন করেছে। তারাও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে। দেশের মানুষের অধিকার, স্বাধিকার আন্দোলনে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সব চেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন ছাত্ররা।
ইফতার মাহফিলে ১২ দলীয় জোটের প্রধান বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর এই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তাই বলছি, যতটুকু সংস্কার দরকার শেষ করে তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেন।
ইফতার মাহফিলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।