সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে দালাল ও ডায়াগনিস্টিকের ফাঁদে অসহায় রোগীরা

প্রকাশিত হয়েছে- বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে দেখা গেলো এক অদ্ভুত দৃশ্য এক অভাবী শিশুর চিকিৎসার আশায় হাসপাতালের টিকিট কেটে ডাক্তারের রুমে ঢোকার আগেই হঠাৎ হাজির এক ‘সাহায্যকারী’।

দালাল নামের সেই ব্যক্তি ‘মানবিকতার’ মুখোশ পরে তাকে নিয়ে যায় শহরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
ইয়া-রব ডায়াগনস্টিকে

সেখানে শুরু হয় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার গল্প আর শেষে হাতে ধরা হয় কয়েক হাজার টাকার একটি মোটা বিল।

পরিবারটির মাথায় হাত—কোথা থেকে আসবে এই টাকা?

ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, “আমরা কি জোর করে এনেছি? এনেছেন তো আপনারাই!” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুপচাপ, যেন তাদের দায়িত্ব এই সবের বাইরে। আর দালাল? সে তো এখন আড়ালে।

এই ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দায়টা তাহলে কার?

দালাল কি শুধুই চালাক?

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি জানে না এমনকি এমন হয়েই চলেছে?

ডায়াগনস্টিক কি নির্লিপ্ত সুবিধাভোগী?

না কি রোগীর সরলতা এই পুরো চক্রের সুবিধার উৎস?

উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যায়, এ দায় একা কারো নয়—বরং পুরো ব্যবস্থার।
একটি শিশুর অসুস্থতা, আর তার সঙ্গে মুনাফার এই নির্লজ্জ খেলা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়—স্বাস্থ্যখাতের ছিদ্র কত গভীর

এভাবেই চলছে কুড়িগ্রামের নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার জুলুম নিপীড়ন
এসব দেখার কেউ নেই,

কোথায় আজ মানবিকতা?
যার উত্তর খুঁজে পায় না সহজ সরল স্বল্প আয়ের মানুষ।

মুতাসিম বিল্লাহ তানিম
জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম