কুকুর কামড়ানো পশু কোরবানি করা যাবে?
কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরবানির গুরুত্ব প্রসঙ্গে মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা হালাল পশু জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সূরা হজ, আয়াত : ৩৪)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আমার কাছে কোরবানির পশুর গোশত ও রক্ত কিছুই কবুল হয় না, তবে আমার কাছে পৌঁছায় একমাত্র তাকওয়া।’ (সূরা হজ, আয়াত : ৩৭)
কোরবানির জন্য সুস্থ-সবল প্রাণী নির্বাচন করা উচিত। সুস্থ সবল প্রাণী নির্বাচনের জন্য কখনো যদি সেই প্রাণীকে কুকুর কামড়ায় তাহলে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
কুকুর কামড়ানোর কারণে যদি পশুটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেই পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। কারণ এতে করে জলাতঙ্ক রোগ খাাবর গ্রহণকারী ব্যক্তির মাঝে সংক্রমণ হবার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
কুকুর কামড়ানোর কারণে কোরবানির পশুর জলাতঙ্ক রোগ হলে পশুটি না খেয়ে পশুটিকে জবাই করে পুতে ফেলা উচিত।
আর যদি কুকুর কামড় দেয়ার পর জলাতঙ্ক বা এমন কোন ক্ষতিকর রোগ না হয়ে থাকে, তাহলে সেটি দিয়ে কোরবানি করতে কোন সমস্যা নেই।
উবায়েদ বিন ফাইরুজ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বারা বিন আযেব রা.-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, কোরবানির জন্য কোন ধরণের পশু অবৈধ (অর্থাৎ জবাইয়ের অযোগ্য)।
তখন তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়ান। আমার আঙ্গুলগুলো তার আঙ্গুল থেকে ছোট এবং আমার আঙ্গুলগুলোর গিরাগুলোও তার আঙ্গুলের গিরা থেকে ছোট ছিল। তিনি চারটি আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বলেন, চার ধরণের পশু কোরবানি করা অবৈধ—
১. স্পষ্ট অন্ধ। ২. স্পষ্ট অসুস্থতা আছে এমন পশু। ৩. লেংড়া, যা বাহ্যত দেখা যায়। ৩. এতো দুর্বল যে, হাড় বেরিয়ে গেছে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৮০২, ইবনে মাজাহ, হাদিস :৩১৪৪)