সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

কলকাতার পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত হয়েছে- শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা কলকাতা টু বাংলাদেশ, সব জায়গায় এসব ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি জানান।শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে ‘আওয়াজ তোলো নারী, কলকাতার পাশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এমন দাবি জানান তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা- ‘তনু থেকে মৌমিতা, কুমিল্লা থেকে কলকাতা’, ‘ধর্ষকের সাজা একটাই, মৃত্যু ছাড়া কথা নাই’, ‘জাস্টিস ফর মৌমিতা, স্টপ রেপ’, ‘এই অসুরদের জন্য মানবিকতা নয়, আমার মানবিকতা মৌমিতা-তনুদের সাথেই মরে গেছে’, ‘আওয়াজ তোলো নারী’সহ নানা স্লোগানে প্রতিবাদ জানান।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা পারভীন বলেন, আজকে আমরা সেই ঘটনার প্রায়ঃশ্চিত্ব করতেই দাঁড়িয়েছি। বাংলাদেশেও অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনার মামলাই হয় না। অনেক ঘটনার মামলা হলেও তার কোনও বিচার হয় না। এমনও হয় যে অনেক ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল না হলে কেউ জানতেও পারে না। আমরা চাই, এমন ঘটনা যেন না হয় বা হলেও যেন ভুক্তভোগী নারী যেন তার বিচার পায়। কলকাতা থেকে বাংলাদেশ সব জায়গায় যেন নারীরা ন্যায়বিচার পায় আমরা সেই দাবি জানাই।

বক্তারা বলেন, দেশে এত ধর্ষণের মাঝে আমরা হিসেব মিলাতে পারি না। কিন্তু সেসবের কোনও প্রতিকার হয় না। এসব নিয়ে প্রোপারলি নিউজও হয় না। এমনও হয়, ঘটনার চার্জশিট গঠন করতেই বছর সময় লেগে যায়। বিচারকার্য শেষ হয় না বছরের পর বছর পার হলেও। আমরা ধর্ষণ হওয়ার আগে চুপ থাকি, যখন কাউকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে যায় তখন আমরা রাজুতে এসে প্রতিবাদের জন্য দাঁড়াই। এক হিসাব অনুযায়ী এক বছরে সাড়ে ৪ হাজার ধর্ষণের দাখিলকৃত মামলা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের সদস্য, শিক্ষক, বন্ধুদের দিয়ে নারীরা যে পরিমাণ হেনস্থার শিকার হয় সেটার হিসাব কেউ রাখে না।

তারা বলেন, সবকিছু সরকারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না। নিজেরাও এর প্রতিবাদ করতে হবে। এমন ঘটনা যখন কোনও বন্ধু করতে যাবে, যখন সে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করবে তখন তাকে থাপ্পড় দিতে হবে, প্রয়োজন হলে তাকে পুলিশে দিয়ে দেন। দেখবেন বন্ধু হয়ে এমন করার সাহস করবে না।তারা বলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ নারীই কোনও না কোনোভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছে। সেটা অধিকাংশই বন্ধু বা কাছের মানুষ দ্বারাই হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না কয়টা পুরুষ ধর্ষক, কয়টা ছেলের মানসিকতা পরিষ্কার। আমরা ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে চিনি কিন্তু সেই ধর্ষকদের চিনি না। আমরা দাবি জানাই, এসব ঘটনা নিয়ে যেন আলাদা সেল গঠন করা হয় এবং ধর্ষকদের যথাযথ বিচার হয়।