কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে মারধর ও চেক ছিনতাইয়ের অভিযোগ: সন্ত্রাসী কোনাল বড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)-এর তালিকাভুক্ত ঠিকাদার আছহাব উদ্দীনের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও চেক ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার কোনাল বড়ুয়া কেনি (২৮) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ জুলাই, কেজিডিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের নিচতলার মসজিদের সামনে। অভিযোগে জানা যায়, ওই দিন কোনাল বড়ুয়া কেনির নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল অফিস চত্বরে ঢুকে ঠিকাদার আছহাব উদ্দীনের উপর হামলা চালায়। হামলার সময় তার হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ব্যাংকের চেকপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ঠিকাদার আছহাব উদ্দীন পরদিন, ২৩ জুলাই, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন।
ঠিকাদার আছহাব উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও গত ১৫ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে বহদ্দারহাট পুকুর পাড় এলাকা থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময় তাকে নগরীর মৌলভী পুকুর পাড়ের পাশে অবস্থিত সাইফুলের চালের দোকানের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে তার কাছ থেকে জোরপূর্বক বেসিক ব্যাংক (ষোলশহর শাখা) ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (মুরাদপুর শাখা)-এর মোট তিনটি চেক এবং তিনটি ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প আদায় করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী আছহাব উদ্দীন জানান, সন্ত্রাসী কোনাল বড়ুয়া চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত বাহির সিগন্যাল এলাকার বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা এবং খোকন বড়ুয়ার ছেলে। হামলার পরপরই বিষয়টি তিনি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে জানান এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেন। একই সঙ্গে তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, “আমার উপর পরিকল্পিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আমি বিষয়টি অবিলম্বে স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমার ব্যাংক চেক ও অন্যান্য কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা আমার ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
এ বিষয়ে কেজিডিসিএলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবি করে আছহাব উদ্দীন বলেন, “এভাবে প্রকাশ্যে একজন সরকারি তালিকাভুক্ত ঠিকাদারকে অফিস চত্বরে তুলে নিয়ে হামলা করা এবং চেক ছিনতাই করার ঘটনা শুধু উদ্বেগজনক নয়, বরং এটি প্রমাণ করে নগরীতে কিছু অসাধু চক্র কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।”