ঐশ্বরিয়ার গলায় ৫০০ ক্যারেটের এই চুনির মালার দাম কোটি টাকা!
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় আনাগোনা বলিউড কুইন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের। ২০০২ সাল অর্থাৎ প্রথম বছর শাড়িতেই সেজেছিলেন অভিনেত্রী। এরপর থাকে পাশ্চাত্যের পোশাকেই দেখা গেছে তাকে।
তবে পাশ্চাত্য সাজে থাকলেও নিজেদের ট্র্যাডিশনাল ভাইবটা প্রায়ই সাথে রেখেছেন ঐশ্বরিয়া। এবারের আসরে রেখেছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া। পোশাক শিল্পী মণীশ মালহোত্রার সোনা ও রুপার জরি দয়ে কারুকাজ বেনারসিতে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। শাড়িতে যেমন গহনার আধিক্য ছিল তেমনই ছিল গলায় চুনি-হীরার গহনার মালা। তবে ঐশ্বরিয়ার এবারের সাজে বিরল এসব গহনার মূল্য নেহাতই কম নয়।
এদিন ‘কড়ওয়া’ বেনারসি শাড়ি পরেছিলেন ঐশ্বরিয়া। ‘কড়ওয়া’ বেনারসির সবচেয়ে কঠিন বুনন পদ্ধতি। সে কারণেই বেনারসির নাম ‘কড়ওয়া’। পোশাক শিল্পী মণীশ নিজেই জানিয়েছেন শাড়িটিতে রুপা ও রোজ গোল্ডের জরি ব্যবহার করে বুটিগুলি বোনা হয়েছে।
সেই সোনা-রুপার জরির ওপর বুনে দেওয়া হয়েছে সূক্ষ্ জারদৌসি কাজ। শাড়িটি আরও নজকাড়া করতে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একটি দুধ সাদা স্বচ্ছ টিস্যুর ওড়না।
এই শাড়ির সঙ্গে ৫০০ ক্যারেটের মোজাম্বিক চুনির মালা এবং একটি বড় হিরার গয়না পরেছিলেন ঐশ্বরিয়া। হাতে ছিল চুনির আংটি। আর সেই চুনির হার গুলোর প্রতি ক্যারেটের মূল্য ২০,০০০ থেকে প্রায় ১ লাখ রুপি।
সে হিসেবে অনুমান করা যাচ্ছে, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে ৫০০ ক্যারেটের সেই চুনির মালাগুলোর দাম কয়েক কোটি রুপি। এছাড়াও শাড়িতে ব্যবহৃত সোনাগুলো সবই প্রায় ১৮ ক্যারেটের। মোটামুটি বাজার দর অনুযায়ী ১৮ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৭১,০০০ এর কাছাকাছি। সব মিলিয়ে কানের লাল গালিচায় পোশাকে প্রায় কয়েকশো কোটি খরচ করেছেন ঐশ্বরিয়া।