বৃহস্পতিবার , ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৪শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

এক হারে বাংলাদেশ ক্রিকেটে লজ্জার দুই বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

এক হারে বাংলাদেশ ক্রিকেটে লজ্জার দুই বিশ্বরেকর্ড
আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা জয়ের পর আত্মবিশ্বাস ছিল বেশ উঁচুতে। প্রস্তুতির জন্য তাই তুলনামূলক খর্বশক্তির দেশের বিপক্ষে আরও একটা ম্যাচ বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ। যদি এর ফলাফল যেন এলো বুমেরাং হয়ে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অন্তত শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছিল লিটন দাসের দল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে দেখাই যায়নি কোনো পর্যায়ে।
বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গিয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সবমিলিয়ে সহযোগী দেশের বিপক্ষে এটি ১১তম হার। অফিসিয়াল ম্যাচের হিসেবে ১০ম ম্যাচে। সিরিজ বিবেচনায় ৩য় সিরিজ হার। সবশেষ এক বছরের মধ্যে দুবার আইসিসির সহযোগী দেশের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।

কাকতালীয়ভাবে ২০২৪ সালে ২১ মে তারিখেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে এসেও ২১ মে তারিখেই আরব আমিরাতের কাছে হারতে হলো সিরিজ। আর সেটাই টাইগার ক্রিকেটে লজ্জাজন দুই বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।

টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষস্তরে বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা ৯ দেশের মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে সহযোগী সদস্যদের কাছে ১০ টি-টোয়েন্টি হেরেছে বাংলাদেশ। ৫ হারের রেকর্ডও অবশ্য অন্য কোনো দেশের নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ টি-টোয়েন্টি হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

(টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ দল বিবেচনায়)

১০ – বাংলাদেশ
৪ – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৩ – ইংল্যান্ড
২ – পাকিস্তান
২ – দক্ষিণ আফ্রিকা

শুধু এখানেই অবশ্য শেষ হচ্ছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির লজ্জার উপাখ্যান। জিম্বাবুয়ে ব্যতীত একমাত্র টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে সহযোগী দেশের কাছে একাধিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা দেশগুলোর কথা বিবেচনা করলে অবশ্য টাইগাররাই সহযোগী দেশগুলোর কাছে হারের একমাত্র শিকার।

সহযোগী দেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার

৬ – জিম্বাবুয়ে
৩ – বাংলাদেশ

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশকে হারাল আরব আমিরাত

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ড সফরে গিয়ে স্কটল্যান্ডের কাছে ১ ম্যাচের সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব আমিরাতের কাছে হার দেখতে হয়েছে গেল ১ বছরের ব্যবধানে।