রংপুরে ঈদ ঘিরে আলুর পরিবর্তে কোল্ডস্টোরেজে মিষ্টি, দই ও ঘি মজুত রাখার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বুধবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে নগরীর ময়নাকুটি অ্যাগ্রো কোল্ডস্টোরেজ লিমিটেডে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রংপুরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। অভিযানের সময় ওই হিমাগারে মজুতকৃত ৬ হাজার ৭৮০ কেজি অবৈধ মিষ্টি উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়।
কোল্ডস্টোরেজের এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদে মিষ্টি ও দইয়ের চাহিদা বেশি থাকে, এ কারণেই আমাদের কোল্ডস্টোরেজে পুষ্টি থেকে এসব মজুত করেছিল। ওনাদের অনুরোধে আমরা কিছু মিষ্টি ও দই রেখেছিলাম। যদিও মিষ্টি রাখার কোনো নিয়ম নেই। এটা আমাদের ভুল হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জোয়ার্দার আসিফ ইকবাল বলেন, তথ্য পেয়ে আমরা কোল্ডস্টোরেজে গিয়ে আলুর আড়ালে মিষ্টি ও দই মজুত অবস্থায় পেয়েছি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব খাবার মজুত করে রেখেছিল হিমাগার কর্তৃপক্ষ। তারা গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনায় এটা করেছে। কিন্তু এটি এই কয়েকদিনে পঁচা বাসি খাবারে পরিণত হতো, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আলুর কোল্ডস্টোরেজে এভাবে মিষ্টি সংরক্ষণ করা অপরাধ এবং প্রতারণা। এজন্য দুই পক্ষকে এক লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোল্ডস্টোরেজে আলুর পরিবর্তে মিষ্টি রাখার বিষয়টি এক ধরনের প্রতারণা। উদ্ধারকৃত দই ও মিষ্টিগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। শিক্ষামূলক জরিমানা করা হয়েছে। এমন ঘটনা পরবর্তী ঘটলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ী কোল্ডস্টোরেজে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি ও দই মজুত করে রেখেছিল। তারা সেগুলো ঈদের আগে ও ঈদের পরে বাজারে সরবরাহ করতো। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন বা বিক্রি রোধে আমরা সবসময় তৎপর।