রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইফতারে বেলের শরবত খেলে কী হয়?

প্রকাশিত হয়েছে- শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫

স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেই ইফতারে পানীয় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বেলের শরবত। সারাদিন রোজা রাখার পর খালি পেটে ইফতারে এ শরবত খাওয়া শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই শরীরে নানা উপকারিতা পেতে বেলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের। বেল পানিশূন্যতা কমিয়ে শরীরকে শীতল রাখতে পারে।

বেল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। সেই সঙ্গে এতে আছে নানান ঔষধি গুণ, যা আমাদের দেহের অনেক উপকার করে। প্রাচীন সময় থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছে এ ফল।

বিভিন্ন উপকারী গুণের পাশাপাশি গরমে ঠান্ডা এক গ্লাস বেলের শরবত নিমেষেই আপনাকে প্রশান্তি এনে দিতে পারে। তাই গরমের এই সময় ইফতারের শুরুতে বেলের শরবতকে সঙ্গী করে নিতে পারেন।
বেলের শরবত খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-

১। কোষ্ঠকাঠিন্য: নিয়মিত বেল খেলে এর ল্যাকোটিভগুণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও মুখের ব্রণ দূর হয় এবং ত্বক ভালো থাকে। টানা ৩ মাস যদি আপনি নিয়মিত বেল খান, তাহলে আপনি সহজেই মুক্তি পেতে পারেন এই সমস্যা থেকে।

২। আলসারের ওষুধ: আলসারের ওষুধ হিসেবে খেতে পারেন বেল। পাকা বেলের শাঁসে সেই ফাইবার আছে, যা আলসার উপশমে খুবই কার্যকরী। এ জন্য সপ্তাহে তিন দিন খান বেলের শরবত।

৩। ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে বেল। পাকা বেলে আছে মেথানল নামের এক উপাদান, যা ব্লাড সুগার কমাতে অনবদ্য কাজ করে। তবে শরবত করে নয়, বেল খেতে হবে এমনিই।

তীব্র তাপপ্রবাহে প্রশান্তি পেতে গরমে নিয়মিত এক গ্লাস বেলের শরবত খান।

৪। আর্থ্রাইটিস: শরীরে হাড়ে কিংবা মাংসে ব্যাথা ছাড়া এখন খুব কম মানুষই আছেন। আর্থ্রাইটিসের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও বেলকে সঙ্গী করে নিতে পারেন।

৫। এনার্জি: পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফাইবারে ভরপুর বেল হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এনার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালরি এনার্জি দেয়। পাচনক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে তোলে এই বেল।

৬। ব্লাড প্রেশার: ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার কারণে চিন্তায় রয়েছেন? এ সময় বেল খেলে দূর হবে এই সমস্যা? চিকিৎসকরা বলছেন, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেলের জুড়ি মেলা ভার।

৭। ক্যানসার: বেলে রয়েছে অ্যান্টি প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান। নিয়মিত বেল খেলে শরীর ক্যানসার প্রতিরোধী শক্তি বাড়ে।

৮। পানিশূন্যতা কমিয়ে শরীরকে শীতল রাখা: বেল খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করার পাশাপাশি শরীরকে শীতল রাখে।

৯। হজম শক্তি বাড়ায়: বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। পাচন প্রক্রিয়া সবল করে হজম শক্তি বাড়াতে পারে।

১০। ত্বকের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ এবং সি-র ভালো উৎস বেল। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে গোলাকার এ ফলটি।
এ ছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, যক্ষ্মা, অপুষ্টিতেও ভালো কাজে আসে এই বেল। তাই গরমের এই সময় ইফতারে নিয়মিত খেতে পারেন বেল অথবা বেলের শরবত।