রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে তদন্ত কমিটি, দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে: নাহিদ ইসলাম

প্রকাশিত হয়েছে- সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম আমিরুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে আজ রবিবার এ কমিটি করা হয়েছে। এ জন্য ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুশফিকুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে সময় কেন ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল এবং কার নির্দেশে এ কাজ করা হয়েছিল তার তদন্ত শুরু হচ্ছে। দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নানা কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সেসময় সরকারের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে বিপরীতমুখী বক্তব্য দেন।

পুরো দশদিন পর গত ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয় এবং ৩১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।

এরপর অসহযোগ আন্দোলনেই মধ্যে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির দিন ৫ আগস্ট ফের কয়েক ঘণ্টার জন্য মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওইদিনই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দুপুর ২টার পর ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু হয়।