শুক্রবার , ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে বিটিআরসির বড় সিদ্ধান্ত, কমলো ব্যান্ডউইথের দাম

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫

ইন্টারনেটের খরচ কমাতে বিটিআরসির বড় সিদ্ধান্ত, কমলো ব্যান্ডউইথের দাম
দেশে ইন্টারনেট সেবার ব্যয় যুক্তিসঙ্গত ও গ্রাহকবান্ধব করতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারি ও বেসরকারি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের জন্য নতুন ব্যান্ডউইথ মূল্য নির্ধারণ করে ট্যারিফ ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এতে সর্বনিম্ন প্রতি মেগাবাইট ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৩০ টাকা, আর সর্বোচ্চ ২৯৯ টাকা।

এই নতুন ট্যারিফ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদনের পর প্রকাশ করেছে বিটিআরসি। কমিশনের মতে, এটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে বাজার পরিস্থিতি এবং গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় কমিশন প্রয়োজনে ট্যারিফে পরিবর্তন আনতে পারবে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকার মধ্যে এবং ঢাকার বাইরে ব্যান্ডউইথের ফ্লোর ও সিলিং প্রাইস আলাদা হতে পারবে, তবে তা নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে। ১ থেকে ১০০০ এমবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথের মূল্য প্রতি এমবিপিএস ২৬৫ থেকে ২৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১ লাখ এমবিপিএস বা তার বেশি ব্যান্ডউইথের জন্য প্রতি এমবিপিএস মূল্য হবে ২৩০ থেকে ২৫৫ টাকা।
আবার, শুধু মূল্য নয়, সেবার মান নিশ্চিত করতে ‘গ্রেড অব সার্ভিস’ অনুসারে মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আপটাইম, ডাউনটাইম, গ্রাহক সেবা এবং রিপোর্টিংয়ের মানে তিনটি গ্রেড (এ, বি, সি) নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- গ্রেড ‘এ’ মানের সার্ভিসে ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ আপটাইম নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে বার্ষিক সর্বোচ্চ ডাউনটাইম সীমা ৫২৬ মিনিটের মধ্যে থাকতে হবে।

ছাড়া, নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যান্ডউইথ কেনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত মেয়াদ বজায় রাখতে হবে। ১০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ নিলে চুক্তি অন্তত ছয় মাস স্থায়ী হতে হবে এবং ৩০ জিবিপিএসের বেশি হলে অন্তত এক বছরের চুক্তি আবশ্যক। এই সময়ের মধ্যে সেবা সরবরাহকারী কোম্পানি নির্ধারিত মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে গ্রাহক প্রতিষ্ঠান সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কমিশন অনুমোদিত আইআইজি পপ থেকে সেবা দিতে হবে এবং কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনো নতুন পণ্য বা সেবা চালু করা যাবে না। এমনকি অনুমোদিত ট্যারিফ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং ট্যারিফের বাইরে কোনো সেবা পরিচালনা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।