বুধবার , ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ইতিকাফের সময় পারিবারিক প্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে?

প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৫

প্রতীকী ছবি
ইতিকাফের সময় আমল ইবাদতে লিপ্ত থাকা উচিত। যতটুকু সম্ভব আল্লাহর ইবাদতে কাটানো উচিত। অযথা কাজে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। তবে একেবারে চুপ থাকাওঠিক নয়। ইতিকাফের সময় দুনিয়াবি প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।

ইতিকাফের সময় কেউ চাইলে পরিবারের সদস্যদের সাথে প্রয়োজনীয় দুনিয়াবি কথাবার্তা বলতে পারবে। তবে অহেতুক কথা বলা যাবে না। আদদুররুল মুখতার ৩/৪৪১; আলবাহরুর রায়েক ২/৩০৪

ইতিকাফের সময় করণীয় ও বর্জনীয়

>> ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত ইবাদতগুলো সময়মতো পালন করা।

>> বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত ও নফল ইবাদত করা।

>> রাতের যতক্ষণ সময় জেগে থাকবেন ততক্ষণ জিকির, নফল নামাজ পড়া।

>> অতীতের পাপের জন্য তওবা করা ও সামনের দিনগুলোতে পাপ না করার দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করা।

>> বিজোড় রাতগুলোর পুরো সময় ইবাদতে কাটানোর চেষ্টা করা।

>> বেশি বেশি ইস্তেগফার ও দরুদপাঠ করা।

>> কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও ওঠাবসায় কাউকে কষ্ট না দেওয়া।

>> বিশেষ ও দ্বীনি প্রয়োজন ছাড়া কারো সঙ্গে কথা না বলা। কারণ, ইতিকাফের সময় কথা বলা মাকরুহ।

>> আড্ডার আসর জমানো নাজায়েজ।

>> ধর্মীয় বই পুস্তক ছাড়া অন্য কোনো বইপুস্তক পড়া যাবে না।

>> যেকোনো গুনাহের উপকরণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

>> আল্লাহর নৈকট্য ও কদরের রাত্রির ফজিলত ও রহমত লাভের চেষ্টা করা।

অসুস্থতার দরুন নিরুপায় হয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেও ইতিকাফ ভেঙে যাবে। তবে অপারগতার দরুন গুনাহগার হবে না। (ফাতাওয়া কাজী খান : ১/২২৩)