আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের শপিংমলগুলোতে র্যাবের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। ঈদ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের কন্ট্রোলরুম, মোবাইল পেট্রোল, ক্যাম্প, অবজারভেশন পোস্ট, চেকপোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে কোনো ধরনের নাশকতার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তারপরও গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা রোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে এ বাহিনী।
ঈদে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আসা নারীদের ইভটিজিং বা হয়রানি রোধ করতে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার শিকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র্যাবকে জানাবেন, আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের দমন করব।
ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে সড়ক, নৌ ও রেলপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতের পাশাপাশি র্যাবের সেবা পৌঁছে দিতে টার্মিনালগুলোতে কন্ট্রোলরুম, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনের কথাও বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, হয়রানি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধ করতে নজরদারি ও টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি। এ ছাড়া, বড় ঈদগাহগুলোতে নিরাপত্তা সুইপিং ও সিসিটিভি কভারেজের পাশাপাশি পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে নিয়মিত টহল এবং অনলাইনে পশু কেনাবেচায় র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল নিয়মিত নজরদারি করছে।
চামড়া কেনা-বেচায় কিছু সিন্ডিকেট সক্রিয় থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।
শপিংমলগুলো ঘিরে র্যাবের তৎপরতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে। ঈদের ছুটিতে যাওয়া মানুষের বাসস্থান, কর্মস্থল এবং শপিংমলসহ অন্যান্য স্থানে নজরদারি ও টহল থাকবে।
জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহকারীদের রুখতে কার্যক্রম চলমান রাখার কথা জানিয়ে পূর্বের মতো এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্যাপিত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই র্যাব কর্মকর্তা।