জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলা এবং তার জের ধরে মে মাসে সংঘাতে জড়িয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। যা তাদের ক্রিকেটীয় সম্পর্ককে আরও তিক্ততার দিকে নিয়ে গেছে। আগে থেকেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলছে না ভারত-পাকিস্তান। এবারের ঘটনায় বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেও উভয় দেশকে এক গ্রুপে দেখা যাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এদিকে, আগামী বছর সংঘাত হতে পারে দেশ দুটির ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএল ও পিএসএলের।
অবশ্য এই বছরও উভয় টুর্নামেন্টের উইন্ডো একই সময়ে নির্ধারিত হয়েছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে। ফলে বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়ে পিএসএল। এমনকি পাকিস্তানি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েও আইপিএলে খেলার জন্য ক্রিকেটার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ২০২৬ সালেও আইপিএল-পিএসএলের আসর একই সময়ে হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যম।
সাধারণত পিএসএলের আসর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। কিন্তু একই সময়ে হাইব্রিড মডেল অনুসারে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হওয়ায় পিএসএলের উইন্ডো পিছিয়ে দেওয়া হয়। ফলে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়ায় এপ্রিল-মে মাসে। একই সময়ে হয়েছে আইপিএলের অষ্টাদশ আসর। একইভাবে আগামী বছরও এসব ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টকে সূচি বদলাতে হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। ভারত ও শ্রীলঙ্কায় এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টটি হবে আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে।
পাকিস্তান ওবজার্ভার বলছে, চলতি বছরের শুরুতে পিএসএলের সিইও সালমান নাসের জানিয়েছিলেন, টুর্নামেন্টটি নতুন একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাত্রা শুরু করবে। এ ছাড়া বর্তমানে থাকা ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে নতুন আরও দুটি দল যুক্ত হতে পারে পিএসএলে, যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর অংশগ্রহণ ফি–ও বর্ধিত হবে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। তবে ওই ঘোষণার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কিছুটা নীরব ভূমিকায় রয়েছে, আবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেউ কেউ। ফ্র্যাঞ্চাজিগুলোকে বর্তমানে বার্ষিক ১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি করে ফি দিতে হয়।