বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রিটটি (সামারিলি রিজেক্ট) সরাসরি খারিজ করে আজ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটকারি আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন এবং নিজের দেয়া আগের বক্তব্য ‘নট প্রেস’ করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে শুনানিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ চান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এটর্নি জেনারেল আদালতে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন উদ্দেশ্য নেই কোন রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিল করা। সংবিধানে সংগঠন ও রাজনৈতিক দল পরিচালনার যে স্বাধীনতা রয়েছে, এই সরকার সেটিতে বিশ্বাস করে। আর বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সাথে জড়িতদের অন্যায় অবিচারের বিচার হবে আইন আদালতের মাধ্যমে। সেটার জন্য কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা সমীচীন নয়।
এটর্নি জেনারেল বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক ভালো নেতা কর্মী আছেন, যারা তাদের আদর্শে বিশ্বাস করেন। তাই তাদের সে বিশ্বাসের দল নিষিদ্ধ করা আদালতের কাজ নয়। ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে কারা, আজ জেগেছে সেই জনতা’ এমন স্লোগানের প্রেক্ষাপটে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে নতুন স্বাধীনতা এসেছে, সেখানে সবার বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হতে হবে। তাই রাজনৈতিক দল পরিচালনার স্বাধীনতা এ সময় বন্ধ হতে পারে না।
এটর্নি জেনারেল রিটটি খারিজ চেয়ে আদালতকে বলেন, এই রিটটি যাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে, সেই আওয়ামী লীগকে রিটে পক্ষভূক্ত করা হয়নি এবং কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। এই রিটের কোন লোকাস স্ট্যান্ডি নেই। এই রিট মেইনটেনেবল নয়। রিটটি সরাসরি খারিজ চাইলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন।

শনিবার , ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে আনা রিট খারিজ
প্রকাশিত হয়েছে- রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪