গতকাল সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গত ১২ জুন দিবাগত রাতের কোনো একসময় মাটিডালি এলাকার ব্যাংকটির বিমানমোড় উপ-শাখায় এ লুটের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, বগুড়ার সদরের মো. জাহিদুল ইসলাম (২৯), সোনাতলার মো. পাভেল (২৫), আদমদীঘির বিপ্লব সরকার মিথুন (২৮) ও গাইবান্ধার ফুলছড়ির বিমল রাজভর (৩০)।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, অভিযুক্তদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে মো. পাভেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকি তিন জন গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, চুরির মূল হোতা ছিল জাহিদুল ইসলাম। এদের সঙ্গে জড়িত আরও একজন পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন রাত সোয়া ১২টার দিকে গ্রেপ্তার চারজন মাটিডালি সেতুর কাছে একত্রিত হয়। চুরির আগে একজন ব্যাংকের উপশাখার ওই ভবনে রেকি করে আসে। তার ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর জাহিদুল ইসলাম একটি টায়ার লিভারসহ মিথুন ও পাভেলকে নিয়ে ভবনের ওপরে উঠেন। বিমল ও পলাতক আরেক আসামি ব্যাংকের বাইরে পাহাড়ায় ছিলেন। তাদের পরিচয় লুকাতে মুখে মাস্ক ও পলিথিন দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন তারা। পরে ব্যাংকের সিন্দুক কেটে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায়।
চুরির টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে প্রত্যেকে বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তীতে চুরির টাকা দিয়ে জাহিদুল ইসলাম একটি লাল রঙের এপাচি মোটরসাইকেল কেনেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর চারজনের কাছে থেকে গচ্ছিত ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪০ টাকা উদ্ধার করেছে।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাভেলের বিরুদ্ধে একটি চুরি ও একটি মাদকে মামলার হদিস পেয়েছে। আর জাহিদুলের বিরুদ্ধে ১টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তারদের আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।