অভিবাসী নারীদের সুরক্ষাকবচ হলো দীর্ঘমেয়াদি ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার কর্মদক্ষ,যোগ্য ও আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলা নিশ্চিত করা।
পাশাপাশি প্রবাসের পরিবেশ ও পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করা।
আজ রাজধানীর দারুস সালাম রোডস্থ জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সভাকক্ষে আয়োজিত ‘নারী অভিবাসী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, অভিবাসীদের প্রবাসে পাঠানোর পূর্বে তার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
অন্যদিকে, দালালদের দৌরাত্ম বন্ধ করে অভিবাসী নারীর অবস্থান ও কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে স্থানীয় দূতাবাসগুলোর নজরদারিত্ব সক্রিয় রাখা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনা এর সভাপতিত্বে ও ইনিস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী।
মহাপরিচালক তার বক্তৃতায় বলেন, অভিবাসী নারীরা তাদের বৈদেশিক আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিয়মিত রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট বিদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সপ্তাহে অন্তত একদিন অভিবাসী নারী শ্রমিকদের খোঁজখবর নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশে আমাদের প্রবাসী নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন তাদের সেই নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে না। তাই এ অভিবাসী নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম।
প্রধান আলোচক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত ও কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশী দূতাবাস,রিক্রুটিং এজেন্সিকে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে অধিকতর মানবিক হতে হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক, ফয়জুল হক, পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ সেমিনারে আলোচনা করেন। এসময় ইনিস্টিটিউটের কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার , ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ২রা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি