বেলা ২টায় স্টেডিয়ামে প্রবেশের গেইট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়েছে আড়াইটা নাগাদ। স্টেডিয়ামে প্রবেশের পর থেকেই দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। জ্যৈষ্ঠ মাসের রোদে বাইরে অতিরিক্ত অপেক্ষাও ক্লান্ত করেনি ভক্তদের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন জোয়ারের একটা প্রমাণ যেন ছিল দর্শকদের এই উচ্ছ্বাস।
একইরকম কথা শোনা গিয়েছে আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেও। বেশিরভাগই টিকিট পেতে অপেক্ষা করেছেন অনেকটা সময়। আবার নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা একাধিক ভক্ত জানালেন, একজনেই প্রায় ২০টি টিকিট একাই পেয়েছেন টিকিফাইয়ের সার্ভার থেকে।
ভিন্ন কথাও অবশ্য শোনা গিয়েছে। অপেক্ষমাণ এক দর্শক জানালেন, টিকিট বেশিরভাগই অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারেননি। কীভাবে টিকিট সংগ্রহ করলেন- এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন অনেকে। জানালেন, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে চান না তারা।
টিকিট নিয়ে অজস্র বিতর্কের মাঝেও মাঠে ব্যাপক দর্শকের আনাগোনা দেখা গেছে। খেলা ৭টায় শুরুর কথা থাকলেও গেইট বন্ধ হওয়ার কথা বিকেল ৫ টায়। আর সাড়ে ৩টার মাঝেই গ্যালারির এক চতুর্থাংশ ভর্তি। হোম জার্সির সঙ্গে মিল রেখে সাদার শুভ্রতাই গ্যালারিতে বেশি।
মাঠে ভক্তদের এমন স্রোতের জন্য প্রবাসী ফুটবলারদের আবেদন তো আছেই। পাশাপাশি বাফুফের বর্তমান কমিটিকেও কৃতিত্ব দিলেন কেউ কেউ। রনি নামের এক ভক্ত যেমনটা বলছিলেন, ‘প্রবাসী বা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এসব ফুটবলার আগেও খেলতে চেয়েছে। বাফুফের বর্তমান কমিটিই তাদের নিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে। বাফুফের প্রচেষ্টাও মাঠে ফুটবলের দর্শক ফেরাতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’
অবশ্য প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে কথাও কম হয়নি। হামজা, সামিত, ফাহমিদুলদের নিয়ে উচ্চাশা ভক্তদের। খেলা দেখতে আসা এসব ভক্তদের মাঝে হামজা চৌধুরী আর সামিতকে নিয়েই আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। যদিও স্কোরিং সমস্যা মেটাতে কেউ কেউ ফাহমিদুল ইসলামেই খুঁজছেন সমাধান।
এতকিছুর মাঝে জামাল ভূঁইয়া আর তারিক কাজীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর মানুষও কম নেই। বাংলাদেশে প্রবাসী ফুটবলারদের আগমনের রাস্তাটা যে তারাই খুলে দিয়েছিলেন অনেকটা দিন আগে। প্রবাসী ফুটবলারদের ট্যাকটিকাল স্কিল বাংলাদেশ ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নেবে- সেটা নিজের চোখে দেখার আগ্রহেই মাঠে ফুটবল ভক্তদের এমন ভিড়।