রবিবার , ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ || ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - শরৎকাল || ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

অচলাবস্থা কাটিয়ে আংশিক চিকিৎসা সেবায় ফিরেছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট

প্রকাশিত হয়েছে- বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

বিগত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠে আংশিক চিকিৎসাসেবা চালু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ৯টায় হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে রোগীদের টিকিট দেওয়া শুরু হয়। তবে জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ ছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য সেবা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রোগীদের ভোগান্তি এখনও পুরোপুরি কাটেনি।

হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা বলছেন, আজ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালে পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যের অবস্থান দেখা গেছে। একজন আনসার সদস্য জানান, আজ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বহির্বিভাগ চালু হয়েছে। শনিবার থেকে সব সেবা চালু হওয়ার কথা।

তবে জুলাই আন্দোলনে আহতরা ফিরে আসলে তখন পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটা এখনই বলা মুশকিল।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, আজ আংশিকভাবে সেবা চালু হয়েছে। বহির্বিভাগে আসা রোগীদের ঘন্টাখানেক সেবা দেওয়া হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী জানে আলম।

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসাসেবা নেওয়ার জন্য কয়েক শত রোগী অপেক্ষা করছিল। এরপর তাদেরকে আংশিক সেবা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৫ মে দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে একটি বৈঠক চলাকালে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া ও অবহেলার অভিযোগ এনে বিষপান করেন সেখানে চিকিৎসাধীন চার জুলাইযোদ্ধা।

বিষ পানকারীরা হলেন—শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন (আবু তাহের)। পরে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা এখন শঙ্কাযুক্ত।

গত ২৮ মে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ-মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জেরে দেশের সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালটিতে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভর্তি রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

এ ঘটনায় মানববন্ধন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে হাসপাতালের সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী ছুটিতে রয়েছেন। আর ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় জানে আলম মৃধাকে।

জানা গেছে, ঈদের ছুটির আগে জুলাই আন্দোলনে আহত ৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া অন্য সবাই হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানান—কেউ হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে যাননি।

সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ছাড়পত্র দিতে বলেছে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম বলেন, ‘হাসপাতালে অবস্থান করা জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা আমাদের কোনো তথ্য দিচ্ছেন না।