1. numanashulianews@gmail.com : kazi sarmin islam : kazi sarmin islam
  2. islamkazisarmin@gmail.com : newstv : Md newstv
  3. admin@newstvbangla.com : newstvbangla : Md Didar
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তানের পক্ষে’ পোস্ট, ভারতে গ্রেপ্তার শতাধিক - NEWSTVBANGLA
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ১১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শাপলা শহীদদের স্মরণে ২৪ মের কনফারেন্স সফল করুন : মামুনুল হক আদালত চত্বরে ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা আনারুল-আরেফা দম্পতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই : বিআরইবি ‘সরকারে আর একদিন থাকলেও অভ্যুত্থানের শক্তির প্রতি সম্মান রেখে কাজ করব’ ইরানে সপ্তাহব্যাপী হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল, পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি জুলাই বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে জনবান্ধব নেতৃত্বের বিকল্প নেই : রেজাউল ইশরাকের মেয়র পদে বসা ঠেকাতে আপিলে যাচ্ছেন রিটকারী মহানবী (সা.) ও আয়েশা (রা.) এর দাম্পত্য জীবন যেমন ছিল দাঁত নেই এমন পশু কোরবানি করা যাবে? আমুর খালাতো ভাই ডা. খন্দকার রাহাত গ্রেপ্তার

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তানের পক্ষে’ পোস্ট, ভারতে গ্রেপ্তার শতাধিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পাকিস্তানের পক্ষে’ পোস্ট, ভারতে গ্রেপ্তার শতাধিক

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ চলাকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে একটি মন্তব্য করার কারণে দিল্লির যে অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, তাকে বুধবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে।

ভারতের নামকরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় –অশোকা ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিজ্ঞানের ওই অধ্যাপকের নাম আলী খান মাহমুদাবাদ।

সংঘর্ষের মধ্যেই গত ৮ মে এক পোস্টে অধ্যাপক আলী খান লেখেন, “কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা করছেন অনেক দক্ষিণপন্থি ভাষ্যকার, এটা দেখে আমি খুশি। তবে এরা যদি একইভাবে গণপিটুনি, নির্বিচারে বুলডোজার চালানো এবং বিজেপির ঘৃণা ছড়ানোর শিকার হওয়া মানুষদের হয়েও আওয়াজ তুলতেন যাতে এই মানুষগুলো ভারতের নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা পায়।”
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এই মন্তব্যের কিছু শব্দ বিচার-বিবেচনা করে দেখার জন্য সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করার কথাও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৮ মে হরিয়ানা পুলিশ আলী খানকে গ্রেপ্তার করে।

তবে অধ্যাপক আলী খান একা নন, পেহেলগামের হামলা এবং তারপরে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহাওয়ায় একশোরও বেশি মানুষকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাকিস্তানের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার কারণে।
দুটি রাজ্যে ১০০ জনেরও বেশি গ্রেপ্তার
অনেক রাজ্য থেকেই গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া গেলেও সব থেকে বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন আসাম আর উত্তর প্রদেশে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, তার রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

আসামে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন এআইইউডিএফের এক বিধায়ক আমিনুল ইসলামও। গত ২৩ এপ্রিল পেহেলগাম হামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরের দিন আসামের নগাঁও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরে নগাঁওয়ের জেলা আদালতে আমিনুল ইসলাম জামিন পেলেও সঙ্গে সঙ্গেই আবার তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়।

আবার উত্তরপ্রদেশ থেকে বিবিসির দুই প্রতিনিধি সৈয়দ মজিজ ইমাম এবং শাহবাজ আনোয়ারের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যটিতে যে ৩০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের ১৮টি জেলা থেকে ধরা হয়েছে।
ধৃতদের মধ্যে আছেন বরেলি জেলার বাসিন্দা মুহাম্মদ সাজিদ। পুলিশের ভাষ্য মতে তিনি একটি পোস্টে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” লিখেছিলেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মেরঠের এক সেলুন মালিক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ৭ মে। তারা সামাজিক মাধ্যমে “পাকিস্তানের সমর্থনে” পোস্ট করেছিলেন।

মুজফ্ফরনগর জেলার পুলিশ আনোয়ার জামিল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে। একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জামিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মির
শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা মাজিদ জাহাঙ্গীর বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে “অসন্তোষ” এবং “বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাভাবনা” ছড়ানোর অভিযোগে সেখানকার পুলিশ হিলাল মীর নামে এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে।

জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, “কাশ্মিরিরা ব্যবস্থার দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন – এই কথা বলে যুব-সমাজের ভাবনাকে উসকে দিতে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা তাদের মাথায় ঢোকাতে” যে পোস্ট করেছিলেন হিলাল মীর, সেজন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হিলাল মীর তুরস্কের আনাদোলু নিউজ এজেন্সির হয়ে কাজ করতেন। তবে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিবিসিকে বলেছেন, পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।

শ্রীনগরের আরেক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, তার সামাজিক মাধ্যমের টাইমলাইনের একটা পোস্ট সরিয়ে ফেলতে এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ফোন করেছিলেন। তিনি ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেন।

পশ্চিমবঙ্গেও করা হচ্ছে গ্রেপ্তার
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে “দ্য হিন্দু” সংবাদপত্র লিখেছে, রাজ্যের নানা জেলা থেকে ছয় থেকে আট জনকে “পাকিস্তানপন্থি” পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হুগলী, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বারাসাত, বাঁকুড়া এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আবার কলকাতা সংলগ্ন বারাসাতে একটি গণপিটুনির ঘটনাও ঘটেছে “বিতর্কিত” পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অন্যান্য ধারার সঙ্গেই ধৃতদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে যে তারা দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতার চেষ্টা করছিলেন।

মধ্যপ্রদেশেও অন্তত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন পেহেলগামের হামলার ঘটনার পর থেকে। দামোহ জেলার দুজনকে ধরা হয়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে। ওয়াসিম খান নামে একজন ওই পোস্টটি করেছিলেন এবং তাতে “আপত্তিকর মন্তব্য” করেছিলেন তনভীর কুরেশি– এই কারণেই তাদের ধরা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জব্বলপুরে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ উসকানিমূলক ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কারণে একজনকে গ্রেপ্তার করে। এই রাজ্যে ধৃতদের মধ্যে আছেন ডিন্ডোরি জেলার একজন কলেজ শিক্ষকও। তিনি অবশ্য সামাজিক মাধ্যমে নয়, নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে পেহেলগাম হামলা সংক্রান্ত একটি ভিডিও দিয়েছিলেন।

আবার ২৫ এপ্রিল ইন্দোরে পেহেলগাম হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” স্লোগান শোনা যায়। ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ কংগ্রেস দলের এক পৌর প্রতিনিধি আনোয়ার কাদরি ও আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে।

আনোয়ার কাদরি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বলেছিলেন, ভিডিওটি বিকৃত করা হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের পাশের রাজ্য ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা লুজিনা খান নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে “অপারেশন সিন্দুর” নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে।

তার পোস্ট নিয়ে বিতর্ক উঠলে লুজিনা খান তার পোস্টটি মুছে দিয়ে আরেকটি পোস্টে লেখেন, “ভারতীয় সেনার সাহসিকতায় আমি গর্বিত। অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি পোস্ট হয়ে গিয়েছিল, যেটি দ্বিতীয়বার পড়ার পরে আমার ভুল বুঝতে পেরেছি এবং সেই পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছি। আমার পোস্টে যদি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে তাহলে আমি অন্তর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি একজন ভারতীয় হিসাবে গর্বিত এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গর্বিত।”

লুজিনা খান একজন তরুণ ফটোগ্রাফার। ইনস্টাগ্রামে তার এক লাখের বেশি ফলোয়ার আছে।

অভিযুক্ত থাকেন কানাডায়
দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকের একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ এনেছিল ভুয়া খবর পোস্ট করার। ওই পোস্টে লেখা হয়েছিল, বেলগাভি জেলায় কর্নেল সোফিয়া কুরেশির শ্বশুর বাড়িতে আরএসএসের কর্মীরা হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

ওই ভুয়া পোস্টদাতা এবং সেটিতে সমর্থন দেওয়া দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে পরে জানা যায় যে, ওই ভুয়া পোস্ট যিনি দিয়েছিলেন, তিনি আসলে কানাডার বাসিন্দা।

আবার এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ, যিনি পেহেলগাম হামলার সঙ্গে বিহার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের যোগসূত্র রয়েছে বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। আদালতে হাজির করা হলে তাকে দুই লাখ রুপির জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়- কারণ তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।

উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের বাসিন্দা দুই অপ্রাপ্তবয়স্ককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা সামাজিক মাধ্যমে “পাকিস্তানের সমর্থনে” পোস্ট করেছিলেন।

পুলিশ বলেছে, ফেসবুকের একটি ভিডিও পোস্টে তাদের গারো ভাষায় ভারত-বিরোধী স্লোগান ও পাকিস্তানপন্থি স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এর আগে, পেহেলগামের হামলার পরপরই ফেসবুক পেজে ‘ঘৃণা ছড়ানোর’ অভিযোগে মেঘালয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বিবিসি বাংলা

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2015
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট