সাভারে হিজাব পরায় শ্রমিককে কারখানায় ঢুকতে দেয়নি মালিক কর্তৃপক্ষ !

post top
মোঃ দিদারুল ইসলাম: 
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় হিজাব পরিধানে বাঁধা দেওয়ায় একটি কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। 
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে আশুলিয়ার বগাবাড়ি আল্ট্রা মাঠ সংলগ্ন এলাকার ইয়াং জিন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড কারখানার সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
এসময় শ্রমিকরা জানান, ওই কারখানায় প্রায় সহস্রাধিক শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার “উইগ সেকশন-ডব্লিউ ৪” এ কাজ করেন ৬০ জন শ্রমিক। তারা সবাই হিজাব পড়ে কাজ করেন।
 এই হিজাব পরতে নিষেধ করেন কারখানা কতৃপক্ষ। তাদের কথা না মানলে ৬০ জন শ্রমিককেই কারখানায় প্রবেশ করতে দেয়নি। 
কারখানার শ্রমিক লতিফা জানান, আমাকে অ্যাডমিন রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে হিজাব খুলতে বলে। হিজাব খুললে ২০০ টাকা পুরস্কার দিতে চায়। আর যদি হিজাব না খোলা হয় তাহলে শ্রমিকদের ২০০ টাকা শাস্তি স্বরূপ কেটে নেওয়া হয়।
উইগ সেকশন-ডব্লিউ ৪” এর সুপারভাইজার ফেরদৌস তালুকদার বলেন, আমার সেকশনের শ্রমিকদের হিজাব খোলার দায়িত্ব দিয়ে আমাকে অর্থের প্রলোভন দেখায় অ্যাডমিন হাশেমসহ কারখানা কতৃপক্ষ। আমার শ্রমিকরা হিজাব পরে আসায় তাদের হিজাব ও বোরখা খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া সেকশনের ফ্যান বন্ধ করে শ্রমিকদের শাস্তি দেওয়া হয়। হিজাব পড়ে কাজ করতে সমস্যা হয় না এমন কথা শ্রমিকরা হাজার বার বললেও কতৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। যখন কোনভাবেই হিজাব খুলতে পারে নি, তখন পুরো সেকশনের শ্রমিকদের বের করে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে মুঠোফোনে কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার হাশেম ইমরানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাভার আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আল-কামরান বলেন, শ্রমিকদের হিজাব পরায় শাস্তি হিসাবে ২০০ টাকা কেটে নেওয়া, টানাটানি করে হিজাব খোলার চেষ্টা করা অত্যন্ত অন্যায়। আমরা কারখানা কতৃপক্ষকে বলব হিজাব নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে। তা নাহলে এলাকাবাসী, শ্রমিক শ্রেণীসহ সবর্বস্তরের লোকজনকে নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।
এ বিষয়ে শিল্পপুলিশ -১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরন বলেন আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছি। সঠিক ঘটনা জেনে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। 
print

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *