শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর গাঙআটি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পরিত্যক্ত রান্না ঘরের বেতর থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১শে এপ্রিল) সকালে শ্যামনগর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শাহাবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছেন।
নিহত জামাইয়ের নাম আসাদুজ্জামান তাছের (২৫)। তিনি একই এলাকার জয়নগর গ্রামের নুর হোসেন গাজীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী মারুফা খাতুন জানান, নিজেদের মধ্যে সাংসারিক দ্বন্দ্বের জেরে গত ৪ মাস আগে তার স্বামী তাকে মৌখিকভাবে তালাক দেয়। এরপরে গত সপ্তাহে তিনি নিজেই তাকে তালাকনামা পাঠায়। আর সকালে পাশে বড় বোনের রান্না ঘরের তিনি ঝুলন্ত অবস্থায় আছে বলে তার বড় বোন তাকে খবর দেয়।
নিহত আসাদুজ্জামান তাছেরের বড় শালিকা ছকিনা খাতুন জানান, সকালে সূর্য ওঠার সময় আমি আমার পরিত্যক্ত রান্না ঘরটি গোছাতে যাই। এসময় ঘরের মধ্যে একজনকে ঝুলে থাকতে দেখে হাওমাও করে বাহিরে এসে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে গেছে।
নিহতের বোন খাদিজা ও নিহতের মামী রহিমা খাতুন জানান, আসাদুজ্জামান তাছেরকে তারা জোর করে স্বামী পরিত্যক্তা গর্ভবতী মারুফা বেগমের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা আসাদুজ্জামান তাছেরকে বিভিন্ন সময়ে মারপিটসহ নানানভাবে শারিরীক নির্যাতন করত। ওরা তাছেরকে মেরে ফেলেছে।
নিহতের বাবা নুর হোসেন গাজী জানান, গত কয়েক দিন আগে আমার ছেলেকে তার শ্ব
শুরবাড়ির লোকজন মারপিট করে তার ফোন ও টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে গতকাল সেই ফোন আনতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। আজকে শুনতে পাচ্ছি যে আমার ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার ছেলেকে ওরা জোর করে ওখানে এক থেকে দের বছর আগে বিয়ে দিয়েছিল। আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। কারণ আমার ছেলের পা দুটি মাটি স্পর্শ করেছিল।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।