রাতের ঘুম কেড়ে নিচ্ছে উদ্বেগ, নিয়ন্ত্রণে রাখার ৫ উপায়

post top

ঘরে-বাইরে কাজের চাপ। পেশাগত, ব্যক্তিগত জটিলতাও কম নেই। যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, সর্বত্র টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সে সব কারণে উদ্বিগ্ন থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। দেহের বাড়তে থাকা মেদ, ত্বকে বয়সের ছাপ কিংবা চুল উঠতে উঠতে মাথার সামনের অংশ ক্রমশ ফাঁকা হতে থাকা— রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কারও কারও ক্ষেত্রে উদ্বেগ এতটাই মাত্রাহীন হয়ে যায় যে, তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমতো ওষুধ খেতে হয়। রাতের পর রাত ঘুম না হলে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। মনোবিদের সাহায্যও নিতে হয় কাউকে কাউকে। তবে খুব যদি বাড়াবাড়ি না হয়, সে ক্ষেত্রে সামান্য কয়েক অভ্যাসেই উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে কী করলে উদ্বেগ বশে রাখা যেতে পারে?

১) উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে – এমন কোনও ছবি, সিনেমা বা সিরিজ় দেখা যাবে না, যা দেখলে উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারেন। সারা দিন পর বাড়ি ফিরে পরিবারের ভাল-মন্দ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন অনেকে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, তা যেন আলোচনার পর্যায়েই থাকে। উত্তেজনা বাড়িয়ে না দেয়।

২) মেডিটেশন করতে পারলে ভাল – রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মিনিট দশেক ধ্যান করার অভ্যাস করতে পারেন। হালকা কোনও যন্ত্র বা মেডিটেশন মিউজিক শুনতে শুনতেও ধ্যান করতে পারেন। নিজের মনকে শান্ত করার এই প্রক্রিয়া এক দিনে রপ্ত করা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে মনকে একটি বিন্দুতে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।

৩) ঘুমোনোর আগে লেখার অভ্যাস – অনেকেই রাতে ঘুমোনের আগে ডায়েরিতে সারা দিনের যাবতীয় কাজ লিপিবদ্ধ করতে ভালবাসেন। মনোবিদেরা বলছেন, নিজের ব্যক্তিগত চিন্তা-ভাবনা, ভয়, উদ্বেগের কারণগুলি লিখে রাখতে পারলেও অনেকটা হালকা লাগে। রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমোনো যায়।

৪) ডিজিটাল যন্ত্রের ব্যবহারে লাগাম – কাজ থেকে ফিরে নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর থেকে ফোন, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে আনুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস এবং ডি়জিটাল যন্ত্র থেকে প্রতিফলিত নীলচে আলো মেলানিন হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়।

৫) অতিরিক্ত ঘুমও খারাপ – রাতে জেগে থাকলেই ভাল-মন্দ বিভিন্ন রকম চিন্তা মাথায় আসবে। সেখান থেকে উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে যেতেই পারে। রাতে ঘুম না আসার অন্যতম কারণ বেশি ঘুমোনো। তাই যখন ইচ্ছে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

print

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *