প্রতীকী ছবি
পবিত্র রমজানের রোজা শুরু হয় শেষ রাতে সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে। শেষ হয় সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সময়। সাধারণত মাগরিবের আজান শুরু হলে রোজা ভাঙেন মুসলমানরা। কারণ, ইফতারের সময় হলেই মাগরিবের আজান দেওয়া হয়।
তবে যদি কোনো কারণে সময় হয়ে যাওয়ার পরও মাগরিবের আজান না দেয় বা শোনা না যায়। কিন্তু এলাকার লোকজন চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার বা ঘড়ি দেখে ইফতার করে নেয়, তাহলে তাদের রোজা হয়ে যাবে।
কারণ, আজানের সঙ্গে ইফতারের কোনো সম্পর্ক নেই। ইফতারের সম্পর্ক সূর্যাস্তের সঙ্গে। সূর্য অস্ত গেছে মানেই রোজা পূর্ণ হয়ে গেছে এবং ইফতারের সময় শুরু হয়ে গেছে। কারণ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও কামাচার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা।
সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত। হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যতদিন মানুষ অনতিবিলম্বে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে’ (সহিহ বুখারি: ১৮২১; সহিহ মুসলিম: ১৮৩৮)
অন্য হাদিসে নবী করিম (স.) বলেছেন— ‘দ্বীন ততদিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে, যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা, ইহুদি-খ্রিস্টানরা বিলম্বে ইফতার করে’ (আবু দাউদ: ২৩৫৫)
ঘড়ির সময় যদি ঠিক থাকে, সূর্যাস্তের সময় অনুযায়ী ঘড়ি দেখেই ইফতার করা উচিত। এক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সময়সূচি অনুসরণ করলে নির্ভুল হবে। কারণ, আবহাওয়া অফিসের দেওয়া জেলাভিত্তিক সময়ের সঙ্গে সন্দেহমূলক মিনিট যোগ করেই ইফতারের সময় বের করে থাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এটা নির্ভুলতার জন্য করতে হয়। কারণ জেলার কেন্দ্র থেকে দূরত্ব বাড়ার সাথে সূর্যাস্তের সময়েও কমবেশি হতে পারে।