পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদের শুভেচ্ছা বাণী

আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। পবিত্র এই দিনে আমরা কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সবার মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি।
মানুষে মানুষে মহামিলনের এই মহা-আনন্দের দিন উপলক্ষে আমি আমার প্রাণের ওয়ার্ডের সবাইকে জানাই ঈদ মোবারক।
ঈদের শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই আমার প্রিয় এলাকাবাসী‚ দিনমজুর ‚কৃষক‚ গামেন্টস কর্মী ‚ শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আপনারা আমার পক্ষ থেকে গ্রহণ করুন- ঈদের শুভেচ্ছা।
পবিত্র কোরআনের সুরা হজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে বলা হয়েছে- ‘আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরবানীর পশুর মাংস কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া তাঁর কাছে পৌঁছায়। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো-এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়ণদের।’
ঈদ-উল-আযহা আমাদের শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। সঞ্চারিত করে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা। এ মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবন। এই দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক। আসুন, সবাই মিলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করে সুস্থ ও সুন্দর জীবন গড়ি।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশগড়ার প্রত্যয়ে প্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আসুন- আমরা গ্রহণ করি শপথ।
কোরবানি পশু বর্জ্য নিষ্কাশনে আমাদের সকলের যা কর্তব্যঃ-
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান এই দিনে পশু কোরবানি করে থাকেন। বিপুল সংখ্যক পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনতে পারে। রোগ জীবাণু ছড়িয়ে স্রান করে দিতে পারে ঈদের আনন্দ। একটু সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
কোরবানির পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। সমাজে সকলে মিলে একটু খেয়াল আর সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে।
কোরবানির পর পশুর রক্ত, জবাইকৃত বজ্য ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটি চাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়ি-ভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোরবানির বর্জ্য পলিথিনে করে রেখে দিতে হবে, যাতে ময়লা পরিবহন দ্রু সঙ্গে করা যায়। কাজের ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যে সব এলাকায় গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয় বা দেরি হবে, সে সব স্থানে বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে ভরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্যগুলো ও পলিথিনে দিয়ে দেয়া ভালো। নাড়ি-ভুঁড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনো ভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা যাবে না। মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি সকলের উদ্যোগ থাকলে রোগজীবাণু, দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াতে পারবে না।
সবাই ভালো থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সুরক্ষিত থাকুন। দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ জামাতসহ প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করি। সবাইকে আবারও জানাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
শুভেচ্ছান্তে-
রমজান আহমেদ
কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ড‚ সাভার পৌরসভা।