গুলশানে ১/জুয়েল,২/শরিফ,৩/শহিদ,৪/সেলিম এদের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য বিক্রিসহ চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রশাসন নির্বিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশান,১,২ নদ্দা,কালাচাঁদ, শাহাদাতপুর ও গুদারা ঘাট, বাড্ডা, লিংক রোডে চলছে চাঁদবাজি ও রমরমা মাদক ব্যবসা। ফুটপাত থেকে শুরু করে বাসাবাড়ি ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কোন কিছুই বাদ যায় না তাদের থাবা থেকে। ফুটপাতে চাঁদাবাজী ছাড়াও রয়েছে মাদকের বিরাট সিন্ডিকেট।
গুলশান ১ থেকে গুলশান ২ পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে দোকান রয়েছে প্রায় হাজারখানেক।
তাহলে চলুন হিসেব করা যাক
প্রতিদিন ফুটপাত থেকে টাকা উঠে ১ লক্ষাধিক। মাসে যা ৩০ লক্ষ টাকার অধিক।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জুয়েল ও মাদক সম্রাট শরিফ,শহিদ, সেলিম। জুয়েল যিনি তাঁর নিজস্ব সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে ফুটপাত, বাসাবাড়ী ও কন্সট্রাকশন ফার্মে চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণ করে। সব বিষয়টি ঘটছে প্রশাসনের চোখের সামনে।
সবকিছু দেখেও যেন প্রশাসন নির্বিকার। প্রশাসন এ বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সাধারণ মানুষের মাঝে যা কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। চক্রটির বিরুদ্ধে আশেপাশের বাড়িঘর দখল করার অভিযোগ রয়েছে। বেশকিছু মামলা থাকলেও প্রকাশ্যে তারা ঘোরাফেরা করছে, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে। এই চক্রের সাথে আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারমধ্যে অন্যতম আশরাফুল ইসলাম স্বপন ওরফে (কিলার স্বপন)।
গুলশানে আলোচিত মিল্কি হত্যায় অন্যতম আসামি সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চলের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এই কিলার স্বপন ।
চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা ছাড়াও দেহ ব্যবসা সহ নানা অপকর্মে জড়িত এই চক্রটি ।
জুয়েল ও তার চক্রের নামে গুলশান থানায় একাধিক অভিযোগসহ জিডি রয়েছে বলে জানা যায় । বাড্ডা থানার জিডি নং ৯৫২ তারিখ ১৬-৭-২০২০ গুলশান থানার জিডি নং ৫৭৮ তারিখ ১৪-৬-২০২০ গুলশান থানায় জিডি নং ১৯০ তারিখ ৫-৬-২০২০ গুলশান থানার জিডি নং ১৯৩ তারিখ ৫-৬-২০২০ গুলশান থানা জিডি নং ১২৪ তারিখ ৩-৬-২০২০ ।